Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এখন চলচ্চিত্রাঙ্গণে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কেউ নেই-কাজী হায়াত

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৬ এএম

চলচ্চিত্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার কাজী হায়াত। তিনি বলেন, এখন চলচ্চিত্রে অনিয়ম হলে কাউকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। এমন লোকের সংখ্যাও কমে গেছে। তিনি বলেন, এক সময় চলচ্চিত্রের অভিভাবক হিসেবে ছিলেন, খান আতা, চাষী নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, নায়করাজ রাজ্জাক। তারা চলচ্চিত্রের দিকপাল ছিলেন। তাদের একটি বক্তব্য এবং প্রতিবাদই চলচ্চিত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য যথেষ্ট ছিল। অথচ এখন তাদের মতো কেউ নেই। সবাই যেন গা বাঁচিয়ে চলছে। এভাবে চললে, চলচ্চিত্রে শ্রদ্ধা-ভক্তি বলে কিছু থাকবে না। তিনি খান আতাউর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তার মতো ¯পষ্টবাদী লোক আর কেউ ছিল না। অনিয়ম-অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। একবার এফডিসিতে নিয়ম হয়েছিল, এফডিসিতে রিকশায় চড়ে ভেতরে যাওয়া যাবে না। গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। আতা ভাই নিয়মটা জানতেন না। তিনি রিকশায় চড়ে একদিন এফডিসিতে এসেছিলেন। সিকিউরিটি গার্ড তাকে আটকে দিয়ে বললো, রিকশা নিয়ে ভতরে যাওয়া যাবে না। গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। তখন আতা ভাই বললেন, তাহলে কি এফডিসির সবার গাড়ি হয়ে গেছ? কেউ এটার প্রতিবাদ করেনি? আতা ভাই রিকশা ছেড়ে হেঁটেই এফডিসিতে ঢুকলেন। ফেরার পথে তিনি দাড়োয়ানকে জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে চেনো? দাড়োয়ান বললো, চিনলেও কোনো লাভ নেই। তার এ কথা শুনে আতা ভাই তাকে থাপ্পর দিয়ে বলেছিলেন, এমডি থাকবে তিন বছর আর খান আতা থাকবে চিরকাল। খান আতাদের জন্যই তো তৈরি হয়েছে এফডিসি। এখন এমন স্পষ্ট কথা বলা এবং প্রতিবাদ করার মতো কেউ নেই। রাজ্জাক ভাইও ¯পষ্ট কথা বলতেন। প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে পিছপা হতেন না। তিনি অন্যায্য কোনো কথা বলতেন না। আমজাদ ভাই, চাষী ভাইও তাই ছিলেন। এখন একজন আছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ভাই। তিনি বলছেন, তবে তার কথা খুব একটা উচ্চারিত হচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ