পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন হজ ও ওমরাহ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সউদী সরকার বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের মুসল্লিদের জন্য ওমরাহ করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু হজ এজেন্টদের সংগঠন হাব বলছে, সউদী সরকার ওমরাহ করার অনুমতি দিলেও নতুন যে প্রটোকল দিয়েছে, তাতে চলতি মাসে মুসল্লি পাঠানো সম্ভব নয়। ১০ আগস্ট থেকে ওমরাহ করার অনুমতি দিয়েছে রিয়াদ।
হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াকুব শরাফতি বলছেন, ওমরাহ পালনের মোট খরচ বা প্যাকেজ এখনো পাঠায়নি সউদী সরকারের হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলো। অর্থাৎ ওমরাহ করতে জনপ্রতি কী পরিমাণ খরচ হবে সে হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। মুসল্লিরা সেদেশে গিয়ে কোন কোন হোটেলে থাকবেন সেই তালিকাও এখনো হাতে আসেনি। তাছাড়া ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিমান ভাড়া। কিন্তু সেটা কত হবে এয়ারলাইন্সগুলো তাও জানায়নি। একই সঙ্গে রয়েছে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের জটিলতা।
তার মতে, এসব জটিলতা এবং এ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতেই অনেক সময় লেগে যাবে। ফলে চলতি আগস্ট মাসে আর ওমরাহ পালনের জন্য মুসল্লি পাঠানো সম্ভব হয়ে উঠবে না। এর আগে মুসল্লিদের ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে একটি গ্রুপে ৪৫ থেকে ৫০ জন মুসল্লি নেওয়া যেতো। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সবোর্চ্চ ২৫ জনের বেশি মুসল্লি নেওয়া যাবে না।
আবার আগে হোটেলের এক রুমে ৪-৫ জন রাখা গেলেও এখন ১ থেকে ২ জনের বেশি রাখা যাবে না। এমনকি বাসেও মুসল্লিদের বসতে হবে সিট ফাঁকা রেখে। স্বাভাবিকভাবেই এতে খরচ বেড়ে যাবে এবং জনপ্রতি ওমরাহ পালনে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা লাগবে। যা আগের খরচের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এর পরও রয়েছে ঝামেলা। কারণ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরে যদি করোনা পজিটিভ হয় তাহলে হজে যেতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট মুসল্লি। আর যেহেতু চুক্তি অনুযায়ী অনলাইনে আগেই সব অর্থ পরিশোধ করতে হবে সেহেতু ওমরাহ করতে না পারলেও টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই, বলছেন হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
ইয়াকুব শরাফতি আরো বলেন, ওমরাহ পালনকারী মুসল্লিদেরও নানা নিয়ম-কানুন পালন করতে হবে। আগের মতো আর নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী ঘোরাফেরা করা যাবে না। বরং সউদী আরবের তাওয়াক্কুল অ্যাপসের মাধ্যমে মুসল্লিদের গতিবিধি অনুসরণ বা ট্র্যাক করা হবে। মুসল্লিদের দেশটিতে পৌঁছানোর পর ৭২ ঘণ্টা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে হোটলের কক্ষেই। সউদী সরকারের নুতন প্রটোকল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া তামান্না অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ সংক্রান্ত যাবতীয় বুকিং দিতে হবে। প্রত্যেক ওমরাহ যাত্রীর স্মার্ট ফোনে থাকতে হবে দুটি অ্যাপস (তাওয়াক্কুল ও তামান্না)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।