বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আপসানা ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ারের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, স¤প্রতি হাসপাতালে যোগদান করেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার। যোগাদান করার পরপরই আউটসোর্সিংয়ে চাকরি করা ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠে। এর আগে আউটসোর্সিংয়ের যাদের বাদ দেয়া হয়েছে তাদের গোপনে নিয়োগ দিয়ে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণেরও অভিযোগও এই ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে। স¤প্রতি আউটসোর্সিংয়ের ছেলে মেয়েদর পক্ষে কথা বলেন ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা আফসানা আক্তার। বিষয়গুলো সরেজমিন তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও করেন আফসানা। এতে ওয়ার্ড মাস্টারের ভিতরে ক্ষোভ ছিলো। সেই ক্ষোভ থেকেই আফসানাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন সে।
এই বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক জানান, একজন ওয়ার্ড মাস্টার হয়ে একজন মাতৃতুল্য সিনিয়র স্টাফ নার্সের গায়ে হাত দিবে এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। এর কঠিন বিচার আমিও চাই। তবে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। সব ঘটনা শুনছি এবং জেনেছি মৌখিকভাবে।
আপসানা বলেন, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের টিকা কেন্দ্রের কাছে সরকারি দায়িত্ব পালন করছি। তখন ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ারকে বলা হয় আউটসোর্সিংয়ের গরীব ছেলে-মেয়েদের এবং ভাল মন্দ জায়গায় টিউটি দিয়ে চাঁদাবাজি করেন কেন? ওরা তো গরীব, ওরা প্রধানমন্ত্রীর এলাকার ছেলে-মেয়ে। ওর অসহায়। এই কথা বলতেই বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করে কথা বলে সিনিয়র স্টাফ নার্স আপসানাকে ওয়ার্ড মাস্টার থাপ্পর ও ঘুষি মেরে দেয়। এরপর একাধিক আঘাত করেন বলে আফসানা জানান।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার বলেন, আমাকে পুলিশ থানায় আনছে। কাজটা আমার ভুল হইছে। কেমন হলো বুঝতে পারলাম না। ফরিদপুর এডিসি প্রশাসন এবং কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল গাফফার সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। হাসপাতালের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।