বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বামীকে তালাক দিয়েছিলো স্ত্রী নিজেই। তারপর যৌতুকের মামলা করে স্বামীকে ৭ দিন জেলও খাটায় স্ত্রী। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে স্বামীর শেষ রক্ষা হয়নি। জামিনের ৫ দিনের মাথায় খুন হন স্বামী মামুন খান। গত ২০ জুলাই এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলা পুর্বরাস্তি গ্রামে। ওই ঘটনায় নিহতের মা রিজিয়া বেগম সদর থানায় লিখিতভাবে হত্যার অভিযোগ করলেও এজাহার হিসাবে রুজু করেনি পুলিশ।
ফলে নিহতের মা মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করায় মামলা রুজুর বিষয়ে থানার ওসি ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আইনজীবী সমিতিতে সাংবাদিকদের কাছে এক সংক্ষিপ্ত প্রেসব্রিফিংয়ে মামলার বাদী রিজিয়া বেগমসহ বাদীপক্ষের আইনজীবী হাওলাদার মিজানুর রহমান ও মো. জাফর আলী মিয়া এ তথ্য জানান।
জানা যায়, সদর উপজেলার রাস্তি গ্রামের আ. রশিদ খানের ছেলে মামুন খান সুসর্ম্পকের সুত্র ধরে একই গ্রামের মান্নান সরদারের মেয়ে তাছলিমা বেগমকে ২০১৫ সালে বিয়ে করে। বিয়ের পর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের কারণে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হলে ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর স্বামী মামুন খানকে তালাক দেয় স্ত্রী তাছলিমা। তবে স্বামীর প্রতি আক্রোশের কারণে যৌতুক দাবির অভিযোগ এনে গত ২৩ ফেব্রæয়ারী তাছলিমা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করলে পুলিশ ৮ জুলাই মামুন খানকে গ্রেফতার করে। পরে আদালত ১৫ জুলাই মামুনকে জামিন দেন। এরপর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী তাছলিমা ও তার অভিভাবকরা মীমাংসার কথা বলে মামুন খানকে ২০ জুলাই বাড়ি ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন ২১ জুলাই দুপুর ১২ টায় রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম অবস্থায় মামুনের লাশ যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পশ্চিম পাশে মস্তফাপুর সড়কের পাশে পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম এর জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের মা রিজিয়া বেগম বাদী হয়ে ছেলের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী তাছলিমা বেগমসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় লিখিতভাবে হত্যার অভিযোগ করলেও থানায় পুলিশ মামলা রুজু করেনি বলে অভিযোগ।
সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম এর জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হত্যা মামলা করার জন্য কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি, হত্যা মামলা করবে বলে আমার সাথে পরামর্শ করে থানায় আর আসেনি মৃতের কোন স্বজনরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।