Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অবরোধ-হরতালের হুমকি দিলেন সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেছেন, বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ও ৯নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে গুলি হল। দিনের বেলায় দুই জনের হাত-পা ভেঙে দেয়া হল। একজন আসামিকে এ পর্যন্ত ধরা হলো না। তাদেরকে খোঁজাও হলো না। প্রশাসন কি করছে, আপনারা যদি মনে করেন যে আমরা কিছুই বুঝিনা, তাহলে তো ভুল করছেন। এটা বাদ দিয়ে কোথায় আপনারা চর ফকিরা গিয়ে সেখান থেকে লোক ধরে আনছেন। ঘটনার সাথে সে সম্পৃক্ত আছে কিনা বিবেচনায় আনলেননা। এত গুলো মামলা এ পর্যন্ত আমরা করলাম। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর বাদলের মামলাসহ আমাদের অনেক গুলো মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। গত সোমবার রাত ৯টায় বসুরহাট পৌরসভার কেজিস্কুল এলাকার নিজের বাস ভবন থেকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জু বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এ সমস্যার জন্ম আমরা দেয়নি। যে এ সম্যার জন্ম দিয়েছে এটার রেসপনসিবিলিটি তার এবং তাকে যারা প্রশ্রয় দেয় তাদেরকে এ দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে। সন্ত্রাসীরা কোথায় আছে আপনারা জানেন। আপনারা আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন তারা কোথায় আছে। সবাই দেখছে কোথায় থেকে বের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাÐ করে কোথায় গিয়ে ঢুকছে। এরপরও আপনারা আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা, সময় ক্ষেপণ করার জন্য। আপনারা ব্যক্তি বিশেষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য আপনারা মাঠে নেমেছেন। প্রশাসনের কাজ রাজনীতি করা নয়।
তিনি বলেন, তবে এখানে যদি আ.লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার আর প্রচেষ্ঠা নেয়া হলে লাগাতার অবরোধ, হরতাল এবং আরও কিছু কর্মসূচি আমাদের আছে। কয়জনকে গ্রেফতার করবেন। এর জবাব আমরা মন্ত্রীর কাছ থেকে নেব। আপনি আমাদেরকে মাঠে নামিয়েছেন? আপনি মাঠে নামিয়েছেন আপনার ভাইয়ের মুখ বন্ধ করার জন্য। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা তাই করেছি। তার সন্ত্রাসের কারণে আমরা নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোন আন্দোলন করতে পারেনি। তার সন্ত্রাসের কারণে কোম্পানীগঞ্জে দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। আ.লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আজকে অনেক নেতাকর্মি পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। মামলা হামলায় জর্জরিত আ.লীগ, এ লাশ আর এই পঙ্গু রক্তাক্ত দেহগুলো আর আমরা বহন করতে পারেছি না।
তিনি আরও বলেন, আপনাকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায় এসব অপরাজনীতি আপনি বন্ধ করুন। আমাকে গ্রেফতার করুন আমি বাসায় আছি। আমার মাকে আপনার ভাই এসব ছেলে দিয়ে গালি দিয়েছে। আপনি যদি ওই রকম ভাই হোতেন, এ রকম ভাইকে বহু আগে আপনি গলা টিপে হত্যা করতেন। রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিতেন। আপনি তা করেননি কারণ আপনাদের মুনাফেকির স্বভাব আছে। আপনারা অতীত ভুলে যান। আমাদের ধৈর্যের একটা সীমা আছে। এ সীমাটা লঙ্ঘন করতে আমাদেরকে বাধ্য করবেননা।
মুখপাত্র মঞ্জু বলেন, আমরা রেডি। আমাদেরকে গ্রেফতার করতে হলে আমি, আমার মা, ভাইআমাদের দলের নেতাকর্মীসহ প্রস্তুত আছি। গ্রেফতার হতে প্রস্তুত আছি। তবুও কোম্পানীগঞ্জের আর একটা নেতাকর্মীর গায়ে যদি হাত দেয় এর পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। এ কথাটায় স্পষ্ট ভাবে বলছি। নেতাকর্মীরা মাঠে থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের নেতৃত্বে কাজ করুন। কে কত বড় শক্তি ধর, কে কাকে এখানে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করছে, কে অপরাজনীতি করে, ইনশাআল্লাহ এটা একদিন প্রমাণ হয়ে যাবে। প্রকৃতির বিচার থেকে যত বড় শক্তি ধর, যত নেতাই হোক, কেউ রক্ষা পাবেনা, কেউই বাঁচতে পারেনি। অতীতেও কেউ বাঁচতে পারেনি, আজও বাঁচতে পারবে না, ভবিষ্যতেও বাঁচতে পারবে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ