পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটি সত্যি হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন্দনীয়। এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না। রিটের শুনানি গ্রহণকালে এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি হয়। শুনানিকালে আদালত উপরোক্ত মন্তব্য করেন বলে জানান রিটের আইনজীবী।
পরে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট তলব করেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট। রিপোর্ট দাখিলের পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর রিটের বিষয়ে আদেশ দেয়ার কথা জানান আদালত। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভ‚ঁইয়া রাসেল। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
প্রসঙ্গত: গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁস হয়। পরে এই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ফোনালাপে কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ ( কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’ তাদের এই ফোনালাপ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ফাঁসকৃত ফোনালাপের ভিত্তিতে রিট করেন রাসেল। রিটে বলা হয়, অধ্যক্ষ কামরুন নাহার অডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি এ কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।