Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৫ আগস্টের মধ্যে ৫৪ লাখ টিকা আসছে

গণমাধ্যমকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে করোনাভাইরাসের আরও ৫৪ লাখ টিকা দেশে আসবে। তিনি বলেন, এই ৫৪ লাখের মধ্যে ৩৪ লাখ ডোজ বাংলাদেশ পাবে টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে। চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের টিকার আসছে ১০ লাখ ডোজ এবং উপহার হিসাবে আসছে আরও ১০ লাখ ডোজ। সব মিলে মোট ৫৪ লাখ টিকা আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে আমরা পেয়ে যাব। এতে সুবিধা হবে টিকার কার্যক্রম যে বেগে চলছে, সেটা বজায় রাখতে পারব। তাছাড়া চীন এ মাসে আরও ৫০ লাখ টিকা দেবে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, নিবন্ধন করলেও অনেকে এখনও টিকা নেয়ার জন্য এসএমএস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা যখন হাতে থাকে না তখন মেসেজ যায় না। টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে মেসেজ দেয়া হয়। সামনে টিকা বেশি করে আসবে, তখন আরও বেশি করে মেসেজ যাবে। তবে এই মুহুর্তে হাতে কত টিকা আছে সেবিষয়ে তিনি সুষ্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০০ করে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। আমরা দেখলাম, তার থেকে অনেক বেশি লোক টিকা নিতে এসেছেন। যেসব সেন্টারে বেশি টিকা ছিল তারা বেশি দিয়েও দিয়েছে। ঝড়বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় পরের দিন টিকা দেয়া হয়েছে, দুর্গম এলাকায় পরে দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় সুষ্ঠুভাবেই টিকা দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামে টিকা প্রার্থীর সংখ্যা আগে কম ছিল, বয়স্করা কম পেয়েছিল, টিকা নিতে কিছু অনীহাও ছিল। সেই অনীহা কেটে গেছে। টিকার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে টিকা দেয়া হচ্ছে সেটা চলমান আছে এবং চলমান থাকবে। গ্রামে বয়স্কদের মধ্যে কোভিডে মৃত্যুহার বেশি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সেজন্য টিকা গ্রামে নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম মাঝে মাঝেই ঘোষণা দেব, টিকা হাতে এলে ক্যাম্পেইন করতে যে পরিমাণ প্রয়োজন সেটা পেলেই এভাবে টিকা দেয়া হবে।

জাহিদ মালেক জানান, চীনের সিনোফোর্মের কাছ থেকে আরও ছয় কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন সরকার দিয়েছে। চীনও তাতে সম্মতি দিয়েছে। এখন বিষয়টি চুক্তির পর্যায়ে আছে। এর আগে সিনোফোর্ম থেকে দেড় কোটি ডোজ কোভিড টিকা কেনার চুক্তি হয়েছিল, যা ধারাবাহিতভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন সেপ্টেম্বরে ১০-১৫ মিলিয়ন, অক্টোবরে ২৩ মিলিয়ন আর নভেম্বরে ২৩ মিলিয়ন টিকা দেবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্সের টিকা আসবে। ছয় মিলিয়ন ফাইজারের টিকাও পাওয়ার কথা। আমরা আশা রাখি ভারতের কাছে যে টিকা রয়ে গেছে, তাও পাব। কিন্তু এখনও কোনো রকমের কনফার্ম তারিখ তারা দেয়নি। তিনি বলেন, এখন টিকার খুব প্রয়োজন। টিকা নিয়ে মানুষ সুরক্ষিত হয়। তবে সংক্রমণ থেকে পুরোটা সুরক্ষিত হবে তা নয়। এ জন্য টিকা নিলেও মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

আগামী বছরের শুরুতে দেশে সব মিলিয়ে প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা আসার কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, সেই ২১ কোটির মধ্যে ৩ কোটি ছিল চীনের। এই তিন কোটির সঙ্গে আরও ৪ কোটি যুক্ত হয়েছে। কারণ যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা তো টিকা নাও দিতে পারে। এ জন্য আমরা টিকার সংখ্যার বাড়াচ্ছি। যেখান থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখছি সেখানে কথা বলছি।

জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা আগামী বছরের মাঝামাঝি আসবে। তার আগে আমরা টিকা পেলে সেটাই গ্রহণ করব। চীন থেকে আগে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। আমরা চাই মানুষকে যত দ্রুত সম্ভব টিকা দিতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ