Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা ১০ গ্রামবাসী

মো. আইয়ুব আলী বসুনীয়া, লালমনিরহাট থেকে | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ভাঙনে দিশেহারা ৩ ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ। কোনভাবেই থামছেনা এ ভাঙন। চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভারী বৃষ্টিপাতে শুরু হয়েছিলো তিস্তা ভাঙন। কিন্ত শ্রাবণ মাসে বৃষ্টিপাত না থাকলেও উজানের ঢলে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও কমার ফলে শুরু হয়েছে নদীর ভাঙন।
তিস্তার তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে ভিটেবাড়ি হারানোর শঙ্কায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের দশ গ্রামের মানুষ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তার ভাঙনে সিন্দুর্না ইউপির চর সিন্দুর্না গ্রামের ৭টি পরিবার ও কয়েকশ’ একর ফসলী জমি, পাটিকাপাড়া ইউনিয়নে ৪টি পরিবার ও ডাউয়াবাড়িতে ৮টি পরিবার সর্বশান্ত হয়েছে। অনেকগুলো পরিবার বসতবাড়ি ভেঙে নিয়ে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছে। হুমকির মুখে এই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চরসিন্দুর্না গ্রামের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিস্তা নদীর ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ওই এলাকার মানুষজরা এখন আতঙ্কে দিনানিপাত করছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। অনেকে তাদের গরু-ছাগল, ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। চোখের সামনেই বাড়িঘর, জমিজমা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েক বছরে তিস্তার ভাঙনে বসতভিটে হারিয়ে শত শত পরিবার রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলেও তা করা হয়নি।
সিন্দুর্না ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বলেন, গত কয়েকদিনের বন্যার পর পানি কমতে থাকায় ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এবারের ভাঙনে সিন্দুর্না ইউনিয়নে এরই মধ্যে ১৩ বসতবাড়ি ও অর্ধশতাধিক একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরো নতুন নতুন এলাকা ভাঙছে। কোনভাবেই তিস্তার ভাঙন থামানো যাচ্ছে না।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হয়েছে। এবারে বন্যায় তিন ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৩৪টি বাড়ি ভাঙনের তালিকা পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের ৪টি পরিবারের জন্য এক বান্ডিল ঢেউটিন ও তিন হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। অন্যান্যদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
লালমনিরহাটের ডিসি আবু জাফর বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ