রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অবশেষে বীজ ধান পেল শরণখোলার ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ ডিলারের মাধ্যমে এ বীজ সরবরাহ করে। গত রোববার ও গতকাল সোমবার চার মেট্রিক টন বীজ ধান আনার সাথে সাথে নিমেশেই তা শেষ হয়ে যায়। তবে, বীজ পেয়ে চাষিরা খুশি হলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল বলে তারা জানান। এ কারণে অনেক চাষি বীজ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, শরণখোলায় মোট ১১ হাজার ২৯০ জন চাষির মাধ্যমে এ বছর ৯ হাজার ৪৩৯ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিআর-১১, বিআর-৫২ ও বিআর-২২ জাতের ধান চাষের জন্য ৭৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। সম্প্রতি অতি বর্ষণের পানিবদ্ধতায় ৫০ ভাগ বীজতলা পঁচে নষ্ট হয়েছে। কিন্তু পুনরায় চাষের জন্য ডিলারদের কাছে বীজ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে চাষিরা। এ নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশ হলে বীজ সংগ্রহের তৎপরতা শুরু করে কৃষি বিভাগ। এরপর উপজেলার রায়েন্দা বাজারের ডিলার মেসার্স সরোয়ার এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে রোববার ও সোমবার ৪ মেট্রিক টন বিভিন্ন জাতের বীজ ধান কৃষকদের মধ্যে সরবারহ করা হয়।
মেসার্স সরোয়ার এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সরোয়ার হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তায় সাতক্ষীরা ও যশোর থেকে বীজ ধান সংগ্রহ করে নির্ধারিত মূল্যে চাষিদের মধ্যে সরবারহ করা হচ্ছে। তবে চাষিদের আরো চাহিদা রয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে বীজ ধান নিতে আসা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জামাল মৃধা জানান, তিনি এ বছর চার মন ধানের বীজতলা করেছিলেন। কিন্তু অতি বৃষ্টিতে তা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন যে বীজ দেয়া হচ্ছে তা থেকে তার চাহিদা পূরণ হবে না। রাজৈর গ্রামের রুস্তুম হাওলাদার জানান, অতিবৃষ্টিতে তার এক মন ধানের তৈরি করা বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এখন যে বীজ পেয়েছেন তা দিয়ে চাহিদা পূরণ হবে না। এসময় কদমতলা গ্রামের এমাদুল হক গাজী ও সিদ্দিক হাওলাদার, কাদের খান, বাচ্ছু হাওলাদার, খাদা গ্রামের রুস্তুম গাজী বীজ ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
বীজ সরবারহের সময় উপস্থিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ মো. আলাউদ্দিন ও মো. হাসিবুল ইসলাম মনি বলেন, চাষের মৌসুম শেষ পর্যায়ে তাই দ্রæত বীজ সংগ্রহ করে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, কৃষকদের কথা চিন্তা করে অনেক ঝুঁকি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এই বীজ সংগ্রহ করতে হয়েছে। এছাড়া চাষিদের মধ্যে বীজ সুষম বন্টনের জন্য ডিলারের কাছে দুইজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। আশা কারা যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯০ ভাগ চাষি উপকৃত হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।