করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত একদিনে আরো ২৪১ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের নিয়ে সরকারি হিসাবে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ হাজার ৬৫২ জন। এছাড়া একই সময়ে করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২৯৯ জন। আর দেশে করোনা সংক্রমণের ১৭ মাসে এসে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৫ জন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৬২৭ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহীত হয়েছে ৪০ হাজার ১৩০টি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ৩ টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮১ লাখ ১৭ হাজার ৪১০টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৯টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ২৮ হাজার ৯২১টি। গত একদিনে করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৮ জন আর নারী ১১৩ জন। দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৫ হাজার ১০২ জন আর নারী মারা গেলেন ৭ হাজার ৫৫০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত একদিন করোনায় নিহতদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছে একজন। তাদের মধ্যে বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগের ১০৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৯ জন, রাজশাহী বিভাগের ১২ জন, খুলনা বিভাগের ৩০ জন, বরিশাল বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের ৭ জন, রংপুর বিভাগের ১০ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ৬ জন। মারা যাওয়া ২৪১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৮৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৪ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন ৯ জন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের পাদুর্ভাব ঘটে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তবে প্রথম পাদুর্ভাবের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে।