পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় কাজ হারানো মানুষকে সহায়াতায় প্রত্যেক পরিবারকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি। তিনি বলেছেন, ভালো নেই করোনায় কর্মহীন পরিবারের কয়েক কোটি মানুষ। তাই, সরকারিভাবে পরিবার প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। অর্থ সংকটে দিশেহারা মানুষের হাহাকার কমাতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
জিএম কাদের বলেন, বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী করোনাকালে নতুন করে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবনযাত্রা দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে। আগে থেকেই আরো অন্তত সাড়ে তিন কোটি মানুষের বসবাস দারিদ্রসীমার নিচে। একটি নির্বাচনী এলাকার বার্ষিক সরকারি সহায়তা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৬ জন জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকায় শতকরা ৩৩ ভাগ সরকারী হিসেবে দরিদ্র। তাদের সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ জন। সেখানে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৭০ টাকা। খাদ্য শস্য বিতরণ করা হয়েছে ৮৮ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৯ টাকার। এছাড়া শিশু খাদ্য ও পশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। সর্বমোট বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৯ টাকা। এই হিসেবে বছরে জনপ্রতি বরাদ্দ ১৯১ টাকা আর প্রতি মাসে জনপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১৬ টাকা। মাসে মাত্র ১৬ টাকা সরকারি সহায়তায় কীভাবে একজন দরিদ্র মানুষের জীবন বাঁচে?
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরো বলেন, যাদের টাকায় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট পাশ হয়েছে সংসদে, তাদের অবস্থা শোচনীয়। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত, পরিবার প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। স্বচ্ছভাবে ২ কোটি পরিবারের মধ্যে এই অর্থ বন্টন করলে দরিদ্র পরিবারগুলো উপকৃত হবে। এতে দেশের প্রতি মাসে খরচ হবে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।