Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বুধবার থেকে খুলছে অফিস-দোকানপাট চলবে গণপরিবহন

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-পর্যটন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ শেষে আগামী বুধবার থেকে প্রায় সব সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও শপিংমল এবং গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে পর্যটন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপাতত খুলছে না।

গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও সব ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ার কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অফিস-আদালাত ও দোকানপাট চালুর পাশাপাশি নির্দিষ্ট রুটে অর্ধেক গণপরিবহন চলবে। তবে আসনের সমপরিমাণ যাত্রী বহন করতে পারবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকল সরকারি/আধাসরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবেন।

সড়ক, রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণ-পরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে। সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল- রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। সকল ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব সচিব এবং বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব শর্ত মানতে হবে। গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হলেও ঈদের সময় আটদিন বিরতি দিয়ে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তা শেষ হয় ৫ আগস্ট। পরে ১০ আগস্ট পর্যন্ত আরেক দফা বাড়ানো হয়।

এরই মধ্যে গত ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে মানুষের চলাচলে সুযোগ দিয়ে কিছু শর্ত আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন জারির আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ধাপে ধাপে শিথিল হবে বিধিনিষেধ। তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধান রাখা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ