Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরো সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা চীন থেকে আসবে

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

চীন থেকে সিনোফার্মের আরো সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে পর্যায়ক্রমে ২ কোটি করে ৪ কোটি ডোজ টিকা আসবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাকি টিকাও দেশে পৌঁছাবে। গতকাল শনিবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রম শুরু করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৫০ লাখের মতো মানুষকে দেওয়া হয়েছে। টিকার ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু হাসপাতালের বেড খালি নেই। এটি দূর করা যায়নি। এছাড়া রয়েছে আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) সঙ্কট। জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বজুড়েই টিকার সঙ্কট রয়েছে। এমন কোনও দেশ নেই যেখানে আমরা টিকার সন্ধান না করেছি। প্রতিটি জায়গায় আমাদের দূতাবাস কাজ করছে। চীন থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা আনার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। এখন আরো ৬ কোটি টিকা আনার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি। অর্থাৎ আগে যে দেড় কোটি কনসার্ন চুক্তি ছিল, তার সঙ্গে আরও ৬ কোটি মিলিয়ে মোট সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা চীন থেকে আনার চেষ্টা করছি আমরা। আমরা আশা করি, যেভাবে চীন বলেছে- নভেম্বরের মধ্যে প্রতি মাসে সমহারে আমরা টিকাগুলো পাব। তারা যদি তাদের কমিটমেন্ট ঠিক রাখে, তাহলে অক্টোবরে ২ কোটি ও নভেম্বরে ২ কোটি টিকা পাব।

কোভ্যাক্স সুবিধার আওতার টিকা সরবরাহও বজায় থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। শহরের লোকেরা টিকা মোটামুটি পেয়েছে। গ্রামের বয়স্ক লোকেরা সেভাবে টিকা গ্রহণ করেনি। তাদের মধ্যে অনীহাও ছিল। আমরা সেই জন্য টিকা তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা শহরে যে ৭৫ শতাংশ রোগী আছে তাদের বেশিরভাগই গ্রাম থেকে আসা এবং ৯০ শতাংশই টিকাবিহীন, তারা টিকা নেননি বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

২০ দিন আগে আমরা কনভেনশন সেন্টারটি দেখতে এসেছিলাম জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের শয্যাগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে আসছে, আমরা অনুভব করছিলাম। যে কারণে এই কনভেনশন সেন্টারকে ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার ব্যবস্থা নিলাম। উত্তর সিটি করপোরেশনে আমরা ২৪ দিনে একটি হাসপাতাল করেছিলাম। সেটিও এক হাজার শয্যার ছিল। এই হাসপাতালটিও এক হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে। ২০ দিনে আমরা ৪০০ শয্যা প্রস্তুত করেছি। এর মধ্যে আইসিইউ শয্যা আছে ৪০টি। বাকি শয্যাগুলো সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় রয়েছে। এখানে ১০ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাঙ্ক বসানো হয়েছে। টেস্ট করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ছোট ল্যাবের।

করোনায় নারীদের আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগে মহিলাদের মৃত্যু-আক্রান্ত ছিল প্রায় ২০ থেকে ২৫ ভাগ। এটা এখন প্রায় ৪৫ শতাংশ। এই আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা কেন বাড়ছে, এটা খেয়াল করতে হবে।

রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি হাসপাতালের ওপর কেমন চাপ- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গত দুই মাসের তুলনায় রোগী বেড়েছে ৭ গুণ। আমরা টিকার কাজ করছি, ডাক্তাররাও কাজ করছে। এছাড়া ফিল্ড হাসপাতাল, বেড আমরা বাড়িয়ে চলছি। কিন্তু এটারও তো একটা সীমা আছে। কতটুকু আর করা যেতে পারে?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ