Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণটিকায় ব্যাপক সাড়া

রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে লম্বা লাইনে শত শত মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনার সংক্রমণরোধে সারাদেশে চলছে গণটিকা কার্যক্রম। দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনসহ দুর্গম এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। বিভিন্ন জেলায় মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই গণটিকা কার্যক্রম। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও প্রখর রোদে পুড়ে, কোথাও বৃষ্টিতে ভিজে টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শত শত মানুষ। এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন। দেশের কোনো কোনো এলাকার গণটিকাকেন্দ্রে ছিল অব্যবস্থাপনার অভিযোগও। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তারপরেও প্রথমবারের মতো ক্যাম্পেইনে কিছু ভুল ত্রæটি থাকতেই পারে। তবে ভবিষ্যতে সেগুলো সংশোধন করা হবে।

প্রথম দিনে ঢাকা সিটির ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণ। অনেককে দীর্ঘ সময় লাইনে থেকে টিকা নিতে দেখা গেছে। তবে টিকাকেন্দ্রে এসে কেউই শারীরিক দূরত্ব মানেন নি। মাস্কহীন টিকাগ্রহীতাসহ গাদাগাদি, হুড়োহুড়ি আর অব্যবস্থাপনার চিত্রও দেখা গেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আব্দুল গনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণটিকা কেন্দ্রে। আইডি কার্ড নিয়ে এলেই টিকা দেওয়া যাবে এমন কথা থাকলেও সকাল দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও অনেকেই টিকা পাননি। আবার অনেকেই রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে এসেও টিকা পাননি এবং বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা থাকলেও সেটাও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ টিকা নিতে আসা অনেকেরই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও এই টিকাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, আমরা সব কিছু মেইনটেইন করে টিকাপ্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করছি। জায়গা ও লোকবল সংকটের কারণে কিছুটা অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ছে। এটা আগামী দিনে ঠিক হয়ে যাবে। আজ প্রথম দিন বলে বুঝতে সমস্যা হয়েছে অনেক কিছুই। আমরা বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে। তবে টিকাগ্রহীতাদের চাপ বেশি থাকায় অনেক কিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছে না।

রাজধানীর অন্যান্য টিকাকেন্দ্রেও দেকা গেছে উপচে পড়া ভিড়। মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, লালবাগ, মিরপুর, কাফরুল এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল থেকে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়ায় টিকা নেয়ার জন্য।
এদিকে, সারাদেশ থেকে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন থেকেও গণটিকা কার্যক্রমের ব্যাপক সাড়ার চিত্র ফুটে উঠেছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ৮৪টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৫টি টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাউয়ুম তালুকদার বলেন, রাজশাহী জেলার ৭৩টি ইউনিয়নেই গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে প্রচুর সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হয়েছে টিকা গ্রহন করছেন বলে জানান।

বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং পৌরসভার মোট ৩৫৭টি বুথে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে ৭১ হাজার ৪০০ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব কেন্দ্রে টিকা দিতে সকাল থেকে কেন্দ্রে ভিড় করেছেন ২৫ বছর ও তদুর্ধ্বরা।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, বগুড়ায় ১২টি উপজেলায় ১০৯টি ইউনিয়নে ৩২৭টি, বগুড়া ও শেরপুর পৌরসভার ৩০টিসহ মোট ৩৫৭টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, কক্সবাজার জেলার ৪টি পৌরসভা ও ৭১ ইউনিয়নের একযোগে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম। দেখা গেছে, সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে ছুটে আসছে মানুষ। সবার মাঝে দেখা গেছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।

এয়ারপোর্ট পাবলিক হাই স্কুলে টিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, টিকার কোন সংকট নেই। জেলায় ২২৮টি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। বুথগুলোতে ৪৫ হাজার ৬০০ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।

খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে টিকা কেন্দ্র গুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। মহানগর ও জেলার ৩০৭ টি বুথে গণটিকা দেয়া শুরু হয়েছে। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনা জেলা ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে মোট ৩০৭টি বুথে প্রতিদিন ২০০ করে টিকা দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার আগ্রহ অনেক বেড়েছে এবং ভালই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, রংপুর জেলায় মোট ৬৫ হাজার ৪০০ জনকে টিকা দেয়া হয়। জেলার ৮টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্রে ৩টি করে বুথ এবং প্রত্যেকটি বুথে ২০০ জনকে টিকা দেয়া হয়।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, টানা ৭ দিন গণটিকার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। প্রথম দিনে গণটিকাদানের পর ১৪ তারিখে দ্বিতীয় দফায় গণটিকা কার্যক্রম চলবে।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুর জেলার ৫২টি ইউনিয়নের ১৫৬ কেন্দ্র শেরপুর ও নালিতাবাড়ী পৌরসভার ১২ টিসহ ১৬৮ টি কেন্দ্রে ৩৩ হাজার ৬শ মানুষকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ৩টি করে কেন্দ্র ৯টি বুথ স্থাপন করা হবে। ৫২ ইউনিয়নে ১৫৬ কেন্দ্রে ৪৬৮ বুথে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশন করে টিকা প্রদান করা হয়। এ ৫২ ইউনয়নে ৩১ হাজার ২শ মানুষকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার ৯ উপজেলার৭৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় ৮৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ৪৬ হাজার ৮শত জনকে টিকা প্রদান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জেলার তিনটি পৌরসভাসহ ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়নে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একদিনে মোট ৪৬ হাজার ৮শত টিকা প্রদান করার টার্গেট নেয়া হয়েছে। ছোট ছোট কিছু ক্রটি হচ্ছে তা নজরে আসামাত্রই সমাধান করা হচ্ছে।

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা জানান, মৌলভীবাজার জেলার ৫টি পৌরসভা ও ৬৭টি ইউনিয়নের ১১২টি কেন্দ্রে একযোগে গণটিকা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।

সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, গণটিকা কার্যক্রমের জন্য মৌলভীবাজার জেলায় ৪৮ হাজার ৮ শত ডোজ টিকা বরাদ্দ (সিনোফার্ম) আসে। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ১১২টি কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত টিকা শেষ হয়ে যায়।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিবদূর গ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল।

সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, উপজেলা বাদে জেলার ৬ টি উপজেলার ৪৫ টি ইউনিয়ন ও ৭ টি পৌরসভায় এই ভ্যাক্সিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে এবং ৭টি পৌরসভার সবকটি ওয়ার্ডের ১টি করে কেন্দ্রে এই টিকা দেয়া হবে।

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কেরানীগঞ্জে গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। সকাল ১০টায় আগানর ইউনিয়নের আমবাগিচা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই টিকা দান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। কেরানীগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নে চার হাজার এবং পরের দিন আরো চার হাজার মোট আট হাজার মানুষকে এই টিকা প্রদান করা হবে।
বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিশ্বনাথে একদিনে টিকা গ্রহণ করেছেন সাড়ে ৫ হাজার নাগরিক। এ নিয়ে উপজেলায় মোট টিকা গ্রহিতার সংখ্যা দাড়ালো প্রায় ১৫ হাজার।
বাগমারা (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উদ্বোধনী দিনে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৭টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৩শত মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান করা হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় এই টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিটি ইউনিয়নে ৬শত মানুষের মাঝে করোনা টিকা দেয়া হবে। আগামী ১৪ আগস্টের পর আবারও এই গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে। সেই সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বামনা( বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, প্রতি কেন্দ্রে ৬০০ জন করে চার কেন্দ্রে মোট ২৪০০ জন প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া উপজেলা হাসপাতালের চলমান টিকা দান কেন্দ্রে প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন ২৭৬ জন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. মনিরুজ্জামান জানান, চারটি গণটিকাদান কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভাবে টিকা দান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছি।
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৩ হাজার টিকা নিয়ে বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে দিনব্যাপী এই টিকা কার্যক্রম চলে। এজন্য উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১৫টি বিশেষ টিকা কেন্দ্র খোলা হয়।
উপজেলা প. প. কর্মকতা ডা. মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ১৫টি বিশেষ বুথের মাধ্যমে পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম ধাপে সিনোফার্মার টিকা দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় ৪টি উপজেলায় ৭১টি কেন্দ্রে ১২৫টি বুথে ২৯ হাজার ৫০০ সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।

দৌলতখান(ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ ১০টি কেন্দ্রে মোট ৬ হাজার মানুষকে সকাল থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, স্বাস্থবিধি মেনে উপজেলার ৯টি ইউপি ও ১টি পৌরসভাসহ ১০টি কেন্দ্রে ৬ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হয়েছে।

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরেও ১৪ ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে গণটিকা দেয়া হয়েছে। ১৪ ইউনিয়নের সাবেক ১নং ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রে এ টিকা দেয়া শুরু হয়।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, দৌলতপুরে ১৪টি কেন্দ্রে মোট ৮ হাজার ৪শ’ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়নে একযোগে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গণটিকা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা দেখা প্রতিটি কেন্দ্রেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপচে পড়া ভিড়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. কামরুল হাসান জানান, আমরা ফরিদগঞ্জ পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নে ১টি করে ১৬টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা প্রদান করেছি।

গলাচিপা (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১টি করে কেন্দ্রে এ টিকাদান কার্যক্রম চলছে। বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্তে¡ও সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে টিকা গ্রহীতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার টিকা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ১২টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার ১টি করে কেন্দ্রে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে থেকে টিকা গ্রহীতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে উপজেলার টিকা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিএম সরফরাজ, কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.চিন্ময় হাওলাদার।
কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলার ৫ ইউপিতে ৫টি কেন্দ্রে ৬শ জন করে সর্বমোট ৩ হাজার জন সিনোফার্মের টিকা গ্রহণ করেছেন। ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয়ে গণটিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক ও কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুুনতাসির জাহান।

কাউখালী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে একযোগে শনিবার সকাল নয়টায় গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
অদ্ভুত আওয়াজে দিশেহারা!
ইনকিলাব ডেস্ক
১৪৯ বছরের পুরনো ফার্মহাউস কিনেছিলেন আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ার বাসিন্দা সারা উইভার। জীবনে যা অর্থ সঞ্চয় করেছিলেন, সব খরচ করে ওই ফার্মহাউস কিনেছিলেন তিনি। দামে সস্তায় হলেও তার যে স্বপ্নপূরণ হয়েছে, তাতেই খুশি ছিলেন। কিন্তু সেই খুশি বেশি দিন স্থায়ী হল না।

পরিবার নিয়ে ফার্মহাউসে বসবাস শুরু করার কয়েক দিনের মধ্যেই মাঝ রাতে বাড়ির দেওয়াল থেকে অদ্ভুত আওয়াজ পেতে শুরু করেন তিনি। তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফার্মহাউসের মালিক ক্রেতাকে বাড়ির সেই ‘ভৌতিক’ আওয়াজের রহস্যটাও লুকিয়ে গিয়েছিলেন। পরে যখন একটি তদন্তকারী দল এসে গোটা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খোঁজা শুরু করে, তখনই তাদের চোখে আসে ফার্মহাউসের বাড়ির পিছনের দেয়ালে ৪ লাখ মৌমাছি বাসা বেঁধেছে! সেই মৌমাছির গুঞ্জনেই অদ্ভুত আওয়াজ হত বলে তদন্তকারীরা জনিয়েছেন। আর সেই আওয়াজ ভয় ধরানোর পক্ষে ষথেষ্ট ছিল। ৪ লাখ মৌমাছিকে তাড়াতে গিয়ে ওই ব্যক্তির ৮ লাখ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, ৩৫ বছর ধরে ওই ফার্মহাউসে মৌমাছির বাসা রয়েছে। সূত্র : সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ