Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভার্চুয়ালি চলবে অধস্তন আদালতের সব মামলা

পুনর্গঠিত হলো হাইকোর্টের একডজন বেঞ্চ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা-বাস্তবতায় বিচার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ১২টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ পুনর্গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘ফুলকোর্ট রেফারেন্স’র ভিত্তিতে তিনি এসব বেঞ্চ গঠন করেন। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক উপস্থিতি এড়িয়ে অধস্তন সব আদালতে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উভয় বিষয়ে জারিকৃত পৃথক এ নির্দেশনা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ভার্চুয়ালি বিচারকাজ পরিচালনার জন্য হাইকোর্টে ১২টি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। এর মধ্যে ৯টি ডিভিশন বেঞ্চ ও ৩টি একক বেঞ্চ রয়েছে। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বিচারপতি মো. আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি মাহমুদুল হক এবং বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ বিচার কাজ পরিচালনা করবেন। এদিকে আজ থেকে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালতের সব মামলা ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে। তবে এ সময়ে সাকসেশন ও অভিভাবকত্বের মামলা শারীরিক উপস্থিতিতে করা যাবে।

অধস্তন আদালত সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, আজ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহ সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি দরখাস্ত/আপিল/রিভিশন/বিবিধ মামলাসহ সব প্রকার শুনানি গ্রহণ (সাক্ষ্য ছাড়া) ও নিষ্পত্তি করবেন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে মামলা দায়ের করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণপূর্বক সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণ বিষয়ক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে।

ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিরা অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে, যাতে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে কোনোরূপ জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যতীত অন্য কোনো আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না। একটি আত্মসমর্পণের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাস কক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।

এছাড়া, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার থেকে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ দেয়া হলো। হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক পাঠিয়ে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায ভার্চুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে গত ৫ আগস্ট সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া করোনায় চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করলে ১৬ আগস্ট থেকে হাইকোর্টের সবগুলো বেঞ্চ ও আপিল বিভাগ ভার্চুয়ালি খুলে দেয়ার সিন্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা। গত বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টাব্যাপী ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ