Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এক কলেজের ১০৩ জন সবার প্রথম শ্রেণি অর্জন

মোহাম্মদ আবদুল অদুদ | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্যঘোষিত ফলাফলে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় অবস্থিত মোশাররফ হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এবারের অনার্স পরীক্ষায় ১০৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই প্রথম শ্রেণি লাভ করেছে। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলেও ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা বোর্ডে টপটেনে থাকা সেরা কলেজ এটি।
কুমিল্লা-৫ এর এমপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান ইনকিলাবকে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার কলেজ থেকে এমন চমৎকার ফলাফলে আমি আনন্দিত। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী, কমিটির সদস্যবৃন্দসহ সকল শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের আমি অভিনন্দন জানাই। তাদের সাফল্যের ধারা যেন অব্যাহত থাকে, আমি তাই আশা করি। এই কলেজের উন্নয়নে যখন যা দরকার, তিনি তা করতেও প্রতিশ্রæতিবদ্ধ বলে জানান।
ভালো ফলের নেপথ্য কারণ সম্পর্কে সমাজকর্ম বিভাগ থেকে ৩.৬০ পাওয়া আসিমা আক্তার বলেন, করোনা পরিস্থিতির আগে কলেজে নিয়মিত আমাদের ক্লাস হয়েছে, ইনকোর্স পরীক্ষা হয়েছে। শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম নাহিদ জানান, প্রতিষ্ঠাতা মোশাররফ চৌধুরীর সঠিক দিকনির্দেশনাই সাফল্যের নেপথ্য কারণ। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান লিটন বলেন, কলেজের প্রতিষ্ঠাতার সঠিক দিক নির্দেশনা এই ফলের নেপথ্যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। অনার্সের সমন্বয়কারী শিক্ষক কাউসার হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠাতার সঠিক দিকনির্দেশনা ও টিমওয়ার্কই ভালো ফলের কারণ। হিসাববিজ্ঞানের রাবেয়া আক্তার জেনি, আরমান ও কানিজ ফাতেমা বলেন, ব্যক্তিগত ভোগ বিলাসিতা না করে আমাদের কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তার কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে ৬টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল আলতাফ হোসেন বলেন, আমাদের নিয়মিত ৯২ জন এবং মানোন্নয়নে ১১ জনসহ মোট ১০৩ শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণি অর্জন করেছে। এমন সাফল্যের নেপথ্য কারিগর হলেন প্রতিষ্ঠাতা মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী।
মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বলেন, আমার বাবা আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরী রাঙামাটিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি একসময় বুড়িচং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারসহ অনেক গুণী মানুষের সাথে শিক্ষকতা করেন। বাবার অনুপ্রেরণাতেই আমি প্রতিষ্ঠানগুলো করেছি। এক্ষেত্রে সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. ইউনুসের কাছে ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছি, সেজন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খানকে এমন ফল উপহার দিতে পেরেছি বলে আমি ধন্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ