Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘দেশ করোনামুক্ত হোক সরকার তা চায় না’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৪ এএম

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, দেশে করোনামুক্ত হোক সরকার তা চায় না। চাইলে সরকার আরো উদ্যোগ গ্রহন করতো। তারা ধরেই নিছে দেশে ১৮ কোটি লোকের মধ্যে মধ্যে ৪ থেকে ৫ লক্ষ লোক মরে গেলে কি হবে? গতকাল গাজীপুরে দলের করোনা হেল্প সেন্টার ভার্চুয়ালি উদ্বোধকালে তিনি এ কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, আমি গত মিটিংয়ে বলেছিলাম যে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের যে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলে একজন আলোচিত কর্মকর্তা আছেন তিনি তার ভেরিফাইড ফেইসবুকে বলেছেন, এসব লকডাউন-টকডাউন উঠিয়ে দাও। মরতে হলে মরবে। প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে। যে নাকী জাতীয় কমিটির একজন পাওয়াফুল মেম্বার তিনি যখন একথা বলেন তার অর্থ কী দাঁড়াচ্ছে? যে পারবে না সে মরবে, যে পারবে সে বেঁচে থাকবে-এই নীতিতে সরকার চলছে।

টুকু বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে আমাদের দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা আজো জনগনের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এই কর্মীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি হচ্ছেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি এখনো বন্দি অবস্থায় আমাদের খোঁজ-খবর নেন। দূর থেকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রতিদিন তিনি মনিটরিং করেন এবং আপনারা শুনে অবাক হবে- যে আমার চেয়ে আগে উনি (তারেক রহমান) খবর পান কোন জেলায় কি হচ্ছে। খবর পেয়ে উনি আমাকে ওই খবরটা পাঠিয়ে দেন যে ওমুক জায়গায় এটা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতা বলে দিনরাতেও শেষ করা যাবে না। যে সরকার জনগন কর্তৃক নির্বাচিত না, যে সরকার জনগনের রায়ে বিশ্বাস করে না সেই সরকারের পক্ষে এটা করাই সম্ভব। এরা রাজনৈতিক সরকার না। তারা আমলা চালিত সরকার। আমলা চালিত সরকার হওয়ার কারণে তাদের বর্ষিয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ পার্লামেন্টে আমলাদের কাছে কত অসহায় সেটা প্রকাশ করেছেন।এটার পরে তো আমার বলার কিছু থাকে না। তারা (আওয়ামী লীগ) যে কিছু না। ওসি-ডিসি-এসপি গোটা দেশের মালিক। ওরাই তো রাতের বেলা অন্ধকারে ভোট চুরি করে আজকে এই সরকারকে বসিয়েছে।তোফায়েল আহমেদের ওই বক্তব্যে বুঝা যায়, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে নাই।

গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জয়দেবপুরে জেলা কার্যালয়ে ‘করোনা হেল্প সেন্টার’ উদ্বোধন উপলক্ষে সকালে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে জেলা ও মহানগরের ১৬টি ইউনিটে অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ ঔষধপত্র বিতরণ করা হয়।
এই হেল্প সেন্টার থেকে করোনা রোগীর জন্য সার্বক্ষনিক টেলিমেডিসিন সেবার চালু রয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। জেলার আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে মহানগর আহবায়ক সালাহউদ্দিন সরকার, জেলার সদস্য সচিব কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক মজিবুর রহমান, মহানগর সদস্য সচিব সোহরাব উদ্দিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শওকত হোসেন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও নির্বাহী কমিটির ডা. মাজহারুল আলমসহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ