পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিদিন দেশে করোনার ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ বেড়েই চলছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুও কমছে না। প্রতিদিনই প্রায় আড়াইশ’র কাছাকাছি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। চিকিৎসার আশায় ঢাকায় এসেও সেবা মিলছে না অনেকের। সর্বশেষ, চারদিনে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত ২৪৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে করোনাতে মৃত্যু ২২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে দেশে চলছে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপট। দেশের একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমানে ঢাকার সংক্রমিতদের ৯২ ভাগই অতি সংক্রমণশীল ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। এর কারণে তাদের জটিলতাও বেশি এবং হাসপাতালেও ভর্তি হতে হচ্ছে বেশি মানুষকে। তারই প্রতিফলন দেখা যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো গতকাল ৬ আগস্টের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তি বলছে, রাজধানী ঢাকার সরকারি ৮ হাসপাতালেই করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ফাঁকা নেই। সেইসঙ্গে সরকারি ৩টি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।
অধিদফতর জানাচ্ছে, ১৭ হাসপাতালের মধ্যে ৩টি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা থাকলেও আইসিইউ নেই। এই তিন হাসপাতাল হচ্ছে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল।
বাকি হাসপাতালগুলোর মধ্যে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬ আইসিইউ বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেড, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৬ বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেড, টিবি হাসপাতালের ৪ বেড ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের সবগুলোতে রোগী ভর্তি।
এছাড়া হাসপাতালগুলোর মধ্যে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৫ বেডের মধ্যে একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেডের মধ্যে ২টি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আট বেডের মধ্যে ২টি, জাতীয় রক্ষকব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের মধ্যে ৩টি, ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালের ২১২ বেডের মধ্যে ৬টি আর পঙ্গু হাসপাতালের ৩টি বেডের মধ্যে ৩টি ফাঁকা রয়েছে। অর্থাৎ, রাজধানী ঢাকার করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ধারিত ১৭ হাসপাতালের ৩৮৫টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ১৭টি।
অপরদিকে, সরকারি এই হাসপাতালগুলোর মধ্যে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের নির্ধারিত ১৬৯ বেডের বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন একজন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের নির্ধারিত ২৭৫ বেডের বিপরীতে অতিরিক্ত ভর্তি আছেন ৭৭ জন আর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৬৩ বেডের বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছেন ৬৭ জন। ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে রোগীরা আইসিইউ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।