Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোর-খুলনা মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ

যশোর থেকে শাহেদ রহমান | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২১, ৬:২১ পিএম

দেশের অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়ক যশোর-খুলনা। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি মণর ফাঁদে পরিণত হয়েছে বেশ কিছু স্থানে। যশোরের সদর উপজেলার পদ্মবিলা থেকে শুরু করে অভয়নগর উপজেলার শেষ অংশ পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থান খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যস্তমত এই মহাসড়কে চলাচল করা আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার যানবাহনসহ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। প্রায়ই এসব স্থানে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

প্রায় ৩০০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত যশোর-খুলনা মহাসড়ক এখন মানুষের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত। যশোর জেলার সদর উপজেলাধীন পদ্মবিলা থেকে অভয়নগর শেষ অংশ পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন লিঃ। আর পদ্মবিলা থেকে যশোরের নতুন খয়েরতলা মোড় পর্যন্ত আরও ১৯ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ করে মাহবুব এন্ড ব্রাদার্স। কিন্তু তমা কনস্ট্রাকশন লিঃ এর অংশের রাস্তার কাজ শেষ হতে না হতেই যানবাহনের চাপে প্রায় স্থানে রাস্তা দেবে গেছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে সর্বোচ্চ ৩০ টন ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১২০০ যানবাহন চলাচলের কথা। কিন্তু সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ততম হওয়ার কারণে ১২০০ যানবাহনে অনেক বেশী চলাচল। আর নওয়াপাড়া থেকে ১০ চাকার ট্রাকে বা কাভার্ড ভ্যানগুলো কয়লা হলে ৩৫ থেকে ৩৭ টন এবং সার বা সিমেন্ট হলে ৪০ টন লোড হয়। যা এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। অর্থাৎ সড়কটি বেহালের জন্য আইনের তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত পণ্য বোঝায় করা ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যানগুলিকেই দায়ী করা হয়েছে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত দ্রব্যের পাশাপাশি বিটুমিনের গ্রেড নিয়েও সচেতন মহলের প্রশ্ন রয়েছে।

যশোর বসুন্দিয়া ইউনিয়নে কলেজ মাঠ পাড়া এলাকার অসিম নামে এক বাসিন্দা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে যশোর-খুলনা মহাসড়কের বসুনিদয়া মোড় রেল ক্রসিং দুই পাশের রাস্তা ভাঙ্গা থাকার করনে প্রায় দিন সকাল ও সন্ধ্যায় ঘন্টা পর ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তা এতটাই বিপদজনক যে চার জন নিয়ে ভ্যান পার করা যায় না, ফলে যাত্রী নেমে পায়ে হেটে ভাঙ্গা পার হয় বলে জানান তিনি।

অতিদ্রুত মহাসড়কটি পুনঃমেরামত করা না হলে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বর্তমান অবস্থায় সড়কে বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা। চলে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকেই। অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি সচেতন মহলের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যশোর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ