পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে ভারতের বায়োটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’। অথচ ব্রাজিলসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভারতের উৎপাদিত কোভ্যাক্সিন ট্রায়াল করেনি। এমনকি ভারতের অনেক রাজ্য এই টিকার ট্রায়াল করতে চাচ্ছে না। অথচ ভারতের টিকা হওয়ায় বাংলাদেশ ট্রায়ালের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
গতকাল বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এই অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। এই টিকার সিআরও প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি বেশ কিছুদিন আগেই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন চেয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনুমোদন দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, তারা যেসব ডকুমেন্টস উপস্থাপন করেছে তার সবই বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক ছিল। গত ১৮ জুলাই ন্যাশনাল ইথিক্যাল কমিটি ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। অর্থাৎ তারা (কোভ্যাক্সিন) মানুষের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, এই অনুমোদন পাওয়ার পরও আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাদের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে ভ্যাকসিন আনার একটা অনুমোদন নিতে হবে। ওষুধ আনার পর তারা ট্রায়াল শুরুর আগে আমাদের অবশ্যই জানাবে কোথায় কি দিচ্ছে। আমরা নিয়মিত এটা পর্যবেক্ষণ করবো।
ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটেক তাদের করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভ্যাক্সিনের’ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাংলাদেশে করার জন্য গত জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় সরকারের কাছে আবেদন করে।
এর আগে গত ২৪ জুন চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি অব দ্য চাইনিজ একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্স। সংক্ষেপে আইএমবি ক্যাম্পসকে পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দেয় বিএমআরসি। আর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ধাপ পেরিয়ে স্বীকৃতি পাওয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, রাশিয়ার টিকা স্পুৎনিক ভি, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা, জনসনের টিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। গত ২৯ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মডার্নার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায়।
উল্লেখ, বাংলাদেশ ভারতের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড এর তিনকোটি ডোজ টিকা ক্রয় করেছে। অথচ ৭০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার পর িেীসরকার বাংলাদেশে কোভিশিল্ড টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে বিপদে পড়তে হয় বাংলাদেশকে। ১৫ লাখ মানুষ করোনার প্রথম ডোজ দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। দীর্ঘ কয়েক মাস পার কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান সে টিকা দেয়ার পর গত সোমবার থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।