Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

গ্রিনহাউস এবং মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন কৃষক জাকির হোসেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবজিখ্যাত কুমিরমারা গ্রামের মাঠজুড়ে তার এই কর্মযজ্ঞ সবার নজর কেড়েছে। জাকির সবজি চাষ করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন এনেছে। জাকিরের মতে, লেখাপড়া করে চাকরির জন্য না ঘুরে নিজের কর্ম দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করা। তার চিন্তাধারা সমাজের বেকার যুবসমাজকে কৃষির আওতায় অর্ন্তভুক্ত করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
জানা যায়, সবজি চাষ করে সফল হতে জাকিরের দেখানো গ্রিন হাউস ও মালচিং পদ্ধতির সফলতা দেখে আশপাশের চাষিরা আগ্রহী হচ্ছে। কিভাবে আরও উন্নত পদ্ধতিতে সবজির চাষ করা যায় এনিয়ে যেন তার ভাবনার শেষ নেই। শুধু জাকিরই নয় গ্রিন হাউস ও মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে এখানকার কৃষকরা। দেশ বিদেশি বিভিন্ন উন্নতশীল বীজ সংগ্রহ করে এলাকায় মালচিং পদ্ধতিতে রোপণ করে সফলতার ছোয়া পেয়েছেন কৃষকরা। জাকিরের সফলতা দেখে কুমিরমারা গ্রামের বেশ কিছু কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করেন। চলতি মৌসুমে এ পদ্ধতিতে লাউ, শসা, করোলা, বোম্বে মরিচ, পেপে, কাঁচা মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, টমেটোসহ নানা প্রজাতীর সবজি চাষ করেছেন জাকির হোসেনসহ অনেক কৃষক। বর্ষা মৌসুমে বাহারি রঙের তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন জাকির। জাকিরের তরমুজ চাষে সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরা এই বর্ষা মৌসুমে বাহারি রঙের তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সবজিচাষি জাকির জানান, আমি এক সময় রাজমিস্ত্রি ছিলাম। সেখান থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কৃষি কাজ করি। এ বছর আমি ৬ বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষে পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করি। এই এলাকায় আধুনিক কৃষি আমি সৃষ্টি করি। এছাড়া স্থানীয় কৃষকদের আধুনিকভাবে কৃষিকাজ করার জন্য উৎসাহ দেই। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে অনেক ভালো ফসল হবে মনে করেন তিনি। স্থানীয় সবজিচাষি মো. ওমর ফারুক জানান, আমাদের কৃষি পণ্য কলাপাড়া উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয়। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে সবজির ন্যায্য মূল্য পাই না। সরকারিভাবে আমরা আর্থিক সহযোগিতা পেলে আরও ব্যাপক হারে সবজি চাষ করতে পারবো।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ জানান, শুধু কুমিরমারা নয়, কলাপাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে আমরা কৃকদের আধুনিক ট্রেনিং দিয়ে সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ