Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে ৯৮ শতাংশের শরীরে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি

অ্যাস্ট্রাজেনেকা গ্রহীতাদের নিয়ে বিএসএমএমইউ-এর গবেষণা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা প্রতিরোধে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গ্রহণকারী ৯৮ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যারা আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিয়েছেন, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। স¤প্রতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) টিকা সংক্রান্ত একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে।

গতকাল সোমবার সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ গবেষণাটি প্রকাশ করে।
হেমাটোলজিকাল প্যারামিটারস অ্যান্ড অ্যান্টিবডি টাইটার আফটার ভ্যাকসিনেশন আগেন্সট সার্স-কোভ-২গ্ধ শীর্ষক গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহসহ-গবেষক হিসেবে প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিলেন।
গবেষণায় বলা হয়, মূলত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইন্সটিটিউট, ভারতে প্রস্তুত করা কোভিশিল্ড দিয়ে দেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে আরো কয়েক ধরনের টিকা এ কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। টিকাদানের উদ্দেশ্য হলো মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা, যা ভবিষ্যতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এবং আক্রান্ত হলেও রোগের তীব্রতার সম্ভাবনা কমায় বলে আগের গবেষণায় জানা গেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত করোনার টিকা গ্রহণকারী ২০৯ জন এই গবেষণায় স্বেচ্ছায় অংশ নেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ এবং অর্ধেকের বেশি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশের আগে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ইতিহাস আছে। অর্ধেকেরও বেশি অংশগ্রহণকারী আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন। তবে এ ধরনের রোগের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকাগ্রহণের পর অ্যান্টিবডি তৈরিতে কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। ৪২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী টিকাগ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের সবার ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ ছিল। রক্ত জমাট বাঁধা বা এ ধরনের অন্য কোনো জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গবেষণাকালীন সময়ে দেখা যায়নি। গবেষণায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির কোনো সম্পর্কও পাওয়া যায়নি। সার্বিক বিবেচনায় টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যারা আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
এ গবেষণা থেকে বাংলাদেশের জনগণের ওপর টিকা প্রয়োগের পর কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে সময়ের সঙ্গে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পরিবর্তন এবং টিকাদান কর্মসূচিতে নতুন অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য টিকার অ্যান্টিবডি তৈরির কার্যক্ষমতা পর্যালোচনার জন্য আরো গবেষণা প্রয়োজন বলে জানানো হয়।
করোনা মোকাবিলায় টিকাদান কর্মসূচিকে সার্থক করার বিকল্প নেই। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ অনুসরণ নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।



 

Show all comments
  • MD ATAUR RAHMAN ৩ আগস্ট, ২০২১, ৪:৩০ এএম says : 0
    THANK,S
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ