পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) টাস্কফোর্সের মাধ্যমে করজালের বাইরে থাকা প্রায় ৮০ হাজার কোম্পানি শনাক্ত এবং করের আওতায় আনার চলমান প্রক্রিয়া ও উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
গতকাল সোমবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ আহবান জানান। কীভাবে এই বিপুল সংখ্যক কোম্পানি এতদিন কর ব্যবস্থার বাইরে ছিল, এদের মাধ্যমে কী পরিমাণ কর ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়েছে টিআইবি। এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াগত দুর্বলতা চিহ্নিত করার পাশাপাশি তা দূরীকরণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, এনবিআরের করপোরেট কমপ্লায়েন্স নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে করজালের বাইরে থাকা বিপুল পরিমাণ কোম্পানি খুঁজে বের করাই প্রমাণ করে দেশে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সুশাসনের ঘাটতি কতটা প্রকট। একটি নিবন্ধিত কোম্পানি ৫০ বছর ধরে ব্যবসা করছে অথচ কখনই কর দেয়নি। আবার মাত্র দুই ঠিকানায় এক হাজার ৪০০ কোম্পানির নিবন্ধন কিংবা একই ব্যক্তি ৪৬টি কোম্পানির পরিচালক কিন্তু টিআইএন আছে মাত্র চারটির! এসব তথ্য রূপকথার অনিয়ম ও আর্থিক অব্যবস্থাপনাকেও হার মানায়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একদিনে বা রাতারাতি এই বিপুল সংখ্যক কোম্পানি কর ফাঁকি দেয়ার সংস্কৃতি যেমন শুরু করেনি, তেমনি স্বল্প সময়ের ব্যবধানেও তারা এই অনৈতিক সুযোগ নিচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট অনেকেরই যোগসাজশে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা দ্রুত নিরসন করা জরুরি। টিআইএন ছাড়া কোম্পানিগুলো সম্পর্কে টাস্কফোর্সের প্রাথমিক প্রতিবেদনে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বেদনাক্রান্ত দেশের করুণ চিত্র ও দেশের আর্থিক খাতের সুশাসনের ঘাটতি। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এর দায় সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষের নিতে হবে। কেননা এক ঠিকানায় শতাধিক কোম্পানির নিবন্ধন দেয়া হলেও তা চিহ্নিত করার ব্যবস্থা যে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতর আরজেএসসির নেই। সেটি যেমন স্পষ্ট তেমনি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সহায়তাকারী এক শ্রেণির ‘ল’ ফার্মের দায়হীন আচরণ সমানভাবে দায়ী।
তিনি বলেন, ৭৮ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের টিআইএন থাকা সত্তে¡ও মাত্র ২৬ হাজারের আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া এবং এর মধ্যে অর্ধেক প্রতিষ্ঠানই আবার ভুয়া নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিয়ে বিপুল কর ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে আলোচিত হলেও এসব যাচাইয়ে এনবিআরের কার্যকর উদ্যোগের ঘাটতি ছিল। তাই ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে এখনই কার্যকর কর্মকৌশল নির্ধারণ ও সংস্থাগুলোর মধ্যকার প্রযুক্তিগত সংযোগ ও সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ সবাই যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে সহজ পদ্ধতিতে রাজস্ব কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখতে পারে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা জরুরি।
একই সঙ্গে করের আওতায় আনার চলমান প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যাতে হয়রানি বা হেনস্তার শিকার না হয়, সে ব্যাপারেও সচেষ্ট থাকার আহবান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।