Inqilab Logo

সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডাক পেলেই রোগীর কাছে ছুটছে ‘অক্সিজেন কন্যা’

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

নীলফামারী সৈয়দপুর কল এলেই বসে থাকার জো নেই। ছুটছেন ‘অক্সিজেন কন্যা’ খ্যাত খন্দকার আবিদা সুলতানা রিয়া (১৯)।
জানা যায়, রিয়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংযোগ সৈয়দপুর’র একজন স্বেচ্ছাসেবী। সর্বত্র করোনা ভাইরাসের ভীতি। এর মাঝেও ভয়কে জয় করে এগিয়ে চলা তার। সঙ্গে আছেন টিম লিডার সামিউল আলিম (১৭)। সংযোগ সৈয়দপুর ও শিল্প পরিবার ইকু গ্রæপ যৌথভাবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি অক্সিজেন ব্যাংক গড়ে তুলছে। উদ্দেশ্য হলো করোনা আক্রান্ত শ্বাষকষ্টে ভোগা রোগীদের বিনামূল্যে দ্রæত অক্সিজেন সেবা দান। এর আগে ১৯ জুলাই ‘সংযোগ সৈয়দপুর’ অক্সিজেন সেবা কার্যক্রম শুরু করে সৈয়দপুর অঞ্চলে।
সংযোগ সৈয়দপুরের সদস্য সচিব নওশাদ আনসারী জানান, খন্দকার আবিদা সুলতানা রিয়া একজন ভীতিহীন স্বেচ্ছাসেবী। তিনি আমাদের টিমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। অবশ্য টিমের অন্যান্য সদস্যরা তাকে সহায়তা করছেন। আমরা তার নাম দিয়েছি ‹অক্সিজেন কন্যা›। সৈয়দপুরের মাঠ পর্যায়ের টিম লিডার ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামিউল আলিমও একজন নির্ভিক করোনাযোদ্ধা। সৈয়দপুরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। এ অবস্থায় বসে নেই তিনি এবং তার সংগঠনের অন্যান্য কর্মীরাও। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছুটছেন রিয়ার সঙ্গে।
সামিউল জানায়, রিয়া আপু আমাদের গর্ব। পিপিই পরা অবস্থায় তাকে আমরা একজন নিবেদিত প্রাণ মানবিক কর্মী হিসেবেই চিনি।
ইকু গ্রুপের পক্ষে সংযোগ সৈয়দপুরের আহবায়ক ইরফান আলম ইকু জানান, আমাদের গ্রুপের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। প্রতিদিন কোভিড রোগীর মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে সংযোগ সৈয়দপুর। পিপিই, কেএন-৯৫ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন আমাদের কর্মীরা। তিনি বলেন, আমাদের টিমে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন মেডিকেল অফিসার ডা. আরমান হোসন রনি। তার পরামর্শ অনুযায়ী অক্সিমিটারের মাধ্যমে করোনা রোগীর অক্সিজেন মাত্রা নীরিক্ষা করা হচ্ছে। এসব কাজে বেশ দক্ষ খন্দকার আবিদা সুলতানা। তিনি একজন তৎপর স্বেচ্ছাসেবী।
খন্দকার আবিদা সুলতানা গত এইচএসসি পরীক্ষায় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। অত্যন্ত মেধাবী এই শিক্ষার্থী এখন বিশ্বাবিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায়। সার্বিক বিষয়ে রিয়া বলেন, মানবতার জন্য আমি একজন সাধারণ কর্মী। বন্ধুদের উৎসাহ আমার প্রেরণা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ