পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৯৭২-৭৩ সালে প্রাইমারি স্কুলে নিচের ক্লাসে পড়ি। স্যারদের মুখে তখন ‘ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা’ শব্দটি প্রথম শুনি। স্যারেরা আলোচনা করছেন ফ্রন্টলাইন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় অর্ধশত বছর ‘ফ্রন্টলাইন’ শব্দটি তেমন কানে আসেনি। হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শুরু হলে ফ্রন্টলাইন শব্দটি কানে আসতে থাকে। প্রথমে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে চায়নি দেশের হাজার হাজার চিকিৎসক। তারা সেবামূলক পেশার কথা ভুলে গিয়ে নিজেদের জীবন নিয়ে বেশি চিন্তা করেছেন। স্বার্থপর ওই সব চিকিৎসক হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং নিজেদের চেম্বার বন্ধ রেখে ঘরে বসে থাকেন। কিন্তু প্রথম থেকেই কিছু দেশপ্রেমি চিকিৎসক, নার্স, আয়া, বয় হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
আতঙ্কের মধ্যে বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া এই চিকিৎসকদের নাম দেয়া হয় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা। নার্স-আয়াদের নাম দেয়া হয় ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী। হাজার হাজার চিকিৎসক যখন স্বার্থপরের মতো করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবার চেয়ে নিজেদের জীবন রক্ষায় ঘরে বসে ছিল; তখন সরকারি হাসপতালে কর্মরত একঝাঁক চিকিৎসক করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেন। দিন নেই রাত নেই নাওয়া-খাওয়ার ঠিক ঠিকানা নেই; করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করেন। এই সাহসী সন্তানদের নাম দেয়া হয় করোনার ‘ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা’। অনেকটা ওই ১৯৭২-৭৩ সালে শোনা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধার মতোই। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন; আর করোনা প্যানডামিকে চিকিৎসক-নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ বাঁচানোর যুদ্ধ করছেন। চিকিৎসকদের যুদ্ধ এখনো চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে যারা করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তাদের জন্য আমরা কি করছি? চিকিৎসকরা যাতে আরো বেশি করে করোনা রোগীর সেবা করতে উদ্বুদ্ধ হন সে জন্য কি কিছু করার নেই?
হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করায় অনেক চিকিৎসক নিজ পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে করোনা রোগীদের ডিউটি পালন করায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতে পারেন না, একসঙ্গে ঘুমাতেও পারেন না। ডিউটি পালনের পর ১৪ দিন কোথাও কোয়ারেন্টিনে থেকে তারপর আবার ডিউটি পালন করতে হচ্ছে। শুরুতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু সেই প্রক্রিয়াটিই ছিল বিশৃঙ্খল ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। হোটেল বিল বেশি হওয়ায় বর্তমানে সে ব্যবস্থা আর নেই। অথচ চিকিৎসকদের হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতেই হয়। চিকিৎসকদের কেউ নিজের বাসায় আলাদা রুমে থাকেন। সব সময় আতঙ্কে থাকেন এই ভেবে যে, তার মাধ্যমে পরিবার-পরিজন করোনায় আক্রান্ত হয় কি না। এছাড়া ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের অসহ্য যন্ত্রণা। লকডাউনে আমরা যখন সামাজিক দূরত্ব রক্ষার প্রয়োজনে ঘরে থাকি; চিকিৎসক-নার্সদের তখন হাসপাতালে ছুটতে হয়। এ জন্য বৈশ্বিক মহামারি করোনায় বিভিন্ন দেশে চিকিৎসকরা ‘সুপার হিরো’ মর্যাদা এবং ‘আর্থিক প্রণোদনা’ পাচ্ছেন। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেয়ার পরও আমাদের চিকিৎসকদের ভাগ্যে জুটেছে শুধু বঞ্চনা!
করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি-আতঙ্ক থাকলেও করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার চাপ পড়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনবাজি রেখেই চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা করতে গিয়ে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল প্রাণ হারান এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন। শুধু তাই নয়, গত ১৫ মাসে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে দেশে ১৫০ জনের বেশি চিকিৎসক মারা গেছেন। নার্স মারা গেছেন ২৫ জন। রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার চিকিৎসক, দুই হাজার নার্স এবং সোয়া তিন হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী তার কারণে বাপ-মা ও পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। এই ক্ষতি নিঃসন্দেহে অপুরণীয়। একজন চিকিৎসক তৈরি করতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়।
করোনা রোগীদের চিকিৎসক, নার্স, আয়া, বয়দের নিয়ে দুটি জরিপ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও তথ্য বিভাগের ৮০০৩ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। এতে দেখা যায় করোনার রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্স তথা ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীরা সব সময় মানসিক চাপে থাকেন। এতে বলা হয় ৪১.২ শতাংশ স্বাস্থ্যকমী উদ্বেগ এবং ১৫.৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী বিষন্নতার গুরুতর স্তরে ভুগছেন। তবে ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী দুশ্চিন্তার কম এবং ৫.৫ শতাংশ হতাশার কম গুরুতর লক্ষণে ভুগছেন। আবার অনেক ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্য কর্মীরা এখন চিকিৎসা পেশা বেছে নেওয়ার জন্য দুঃখবোধ করছেন। জরীপে সংশ্লিষ্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য শিক্ষক এবং গবেষণার গবেষক সাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত অন্তত ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোনিবেশ করা। করোনা সঙ্কটের সময় নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য ভালো মানসিক স্বাস্থ্য আবশ্যক।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট পরিচালিত আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ৫৪৭ নার্সদের মধ্যে হালকা বিষন্নতা ৫০.৫ শতাংশ, গুরুতর বিষন্নতা ৫১.৮ শতাংশ, উদ্বেগ ৪১.৭ শতাংশ এবং চাপের প্রবণতা ৬১.৯ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। এতে বলা হয় নার্সদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের লক্ষণগুলোর উচ্চ বিস্তার লক্ষ্য করা গেছে। আমরা মহামারি চলাকালীন নার্সদের জন্য উপযুক্ত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য মানসিক সুস্থতা হস্তক্ষেপ বাস্তবায়নের সুপারিশ করছি।
দুটি জরিপে যে চিত্র উঠে এসেছে তাতে দেখা গেছে চিকিৎসকদের কারো কারো মধ্যে পেশা বদলের চিন্তাভাবনা চলছে। অনেক চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা চাকরি ছাড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাবে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনা দেয়া হলে তাদের মর্যাদা বাড়বে, পেশার জন্য সন্মানবোধ করবেন, কাজে আরো উৎসাহী হবেন; নিজেদের মধ্যে যে বিষন্নতা, হতাশা রয়েছে তা ধীরে ধীরে কেটে যাবে। প্রণোদনা দেয়ার নজীর তো আমাদের রয়েছে। সরকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছেন। আরো কয়েকটি সেক্টরে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া জাতীয় সংসদের অধিবেশন যে মাসে চলে সে মাসে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা কর্মচারীদের এক মাসের বেতন প্রণোদনা হিসেবে অতিরিক্ত দেয়া হয়; এটা রেওয়াজ হয়ে গেছে। যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তাদের প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসতে অসুবিধা কোথায়?
এখানে একটি কথা প্রসঙ্গিক। বাংলাদেশে প্রতিবছর মেডিক্যালে লেখাপড়ার জন্য লাখ লাখ মেধাবী ছাত্রছাত্রী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ পরীক্ষার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এমবিবিএস ক্লাসে ভর্তির সুযোগ পান। পরবর্তীতে তারাই চিকিৎসক হন। এখন চিকিৎসকদের মধ্যে যদি পেশা ত্যাগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তাহলে আগামীতে অনেক পিতামাতা তাদের মেধাবী সন্তানদের মেডিক্যালে পড়ানোর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেবেন। তারা ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ও বিশ্ববিদ্যায়ে পড়ানোর প্রতি জোর দেবেন। এতে সঙ্কট আরো বাড়বে।
দুঃখজনক হলেও সত্য করোনাভাইরাসের ‘ভয়াবহতা’ আমাদের সরকারের দায়িত্বশীর কর্তারা বুঝতে পারেননি। আর সেটা বোঝা যায় বার্ষিক স্বাস্থ্যখাতে অর্থ বছরের বাজেটের দিকে তাকালে। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা (৫.২ শতাংশ)। আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা (৭.৪ শতাংশ)। অবশ্য করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখার কথা জানানো হয়। অথচ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ করোনার কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ পৃথকভাবে বরাদ্দ করেছে। শুধু করোনার জন্য পৃথক বাজেট ঘোষণা করেছেন। অর্থনীতিবিদরা বলে থাকেন, ‘স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে অর্থনীতি সচল থাকবে। স্বাস্থ্য ভেঙে পড়লে সবই ভেঙে পড়বে। এখন সবার আগে টিকা দরকার। এজন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে’। অথচ করোনাকালে বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এটা ঠিক করোনাকালে দুই দফায় কয়েক হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কয়েক হাজার নার্সও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কাজ করেন এমন টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী বাড়ছে; অথচ চিকিৎসক কম। চিকিৎসকদের ওপর চাপ কমাতে ইন্টার্নি চিকিৎসকদের নিয়োগ দিয়ে এবং বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে হলেও কাজে লাগানো উচিত। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে উদ্বুদ্ধ করতে এবং করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সুচিন্তিত রোডম্যাপ প্রণয়ন আবশ্যক।
করোনা নতুন রোগ হওয়ায় শুরুতে প্রতিরোধব্যবস্থা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানী, চিকিৎসকদের মধ্যে ভয়ভীতি ছিল, এটা স্বাভাবিক। চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আতঙ্কগ্রস্ত ছিলেন। করোনার উৎপত্তি, জটিলতা, পরীক্ষানিরীক্ষা এবং চিকিৎসা সবকিছুই ছিল অজানা। ফলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রোগী এবং তার স্বজনদের বিস্তর অভিযোগ ছিল। এখন সে পরিস্থিতি নেই। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে ‘ভয়কে জয় করে’ জীবনবাজি রেখেই আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। রোগীর সঙ্গে কথা বলছেন, আশার বাণী শোনাচ্ছেন, রোগীর গায়ে হাত দিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করছেন। নার্সরা ইনজেকশন-স্যালাইন পুশ করছেন, ওষুধ ও খাবার খাইয়ে দিচ্ছেন, নিয়মিত ব্লাড প্রেশার, পালস, শরীরের তাপমাত্রা এবং অক্সিজেন মেপে দেখছেন। অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীকে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেলটা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে সে চাপ গিয়ে পড়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর। সেই চিকিৎসক, নার্স যদি মানসিক রোগী হন, বিষন্নতা আর হতাশায় ভোগেন তাহলে চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়বে। অতএব করোনা মহামারিকালে চিকিৎসকদের মনোবল বাড়ানো এবং সমাজে চিকিৎসা পেশাকে গৌরবান্বিত করতে করোনা চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ‘বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ’ ঘোষণা করা সময়ের দাবি। সংশ্লিষ্ট ও দায়িত্বশীলরা এটা যত দ্রুত বুঝতে পারবেন ততই বৈশ্বিক মহামারি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জোরালো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।