পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ৭ থেকে ১৪ আগস্ট এই ৭ দিনে উৎসবমূখর পরিবেশে দেশের মানুষকে অন্তত ১ কোটি টিকা দেয়া হবে। দেশের ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত সর্বোত্র এই উৎসব চলবে। টিকা প্রদানে বয়স্ক মানুষকে অগ্রাধিকার দিয়ে তারপর অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে প্রদান করা হবে। অধিক সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে কেবল মাত্র ভোটার আইডি কার্ড অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে আরো সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের অধিক সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়া হবে। এছাড়া দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধি নিষেধের (লকডাউন) মধ্যে পোশাক কারখানা খোলায় ফের সংক্রমণ বাড়বে। মন্ত্রী বলেন, পোশাক কারখানা খুলে দেয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ কর্মস্থলে (রাজধানী) যোগ দিয়েছেন। ঢাকায় ফিরতে তারা কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে। জীবনের জন্য জীবিকার দরকার হয়। এজন্য সরকারকে সবকিছু নিয়েই ভাবতে হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলে সংক্রমণ কম তবে মধ্যাঞ্চলে সংক্রমণ স্থিতিশীল রয়েছে আর পূর্বাঞ্চল মূলত কুমিল্লায় বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গতকাল মহাখালীস্থ বিসিপিএস অডিটরিয়াম হলে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ এমবিবিএস ক্লাস শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে নানা সমালোচনা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনাভাইরাস সৃষ্টির আগে এর ট্রীটমেন্ট বিষয়ে কারও কিছু জানা ছিল না। আমরা অতিদ্রুত শিক্ষা নিয়েছি। মাত্র ১টি ল্যাব থেকে প্রায় সাড়ে ছয়শত ল্যাব করা হয়েছে। ১৭-১৮ হাজার শয্যা করা হয়েছে। আইসিইউ, এইচডিইউ সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সারাদেশে ব্যাপক হারে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যখাত ভালো সেবা দিয়েছে বলেই দেশের অর্থনীতি এখনো বিশে^র বহু দেশের অর্থনীতি থেকে এগিয়ে রয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সাফল্য তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো কাজ করছে জন্য অর্থনীতি ভালো চলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবায় এগিয়ে যাচ্ছে। ওষুধের কোনো স্বল্পতা নেই। সংক্রামক রোগ আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। এখন করোনার কারণে নন-কমিউনিকেবল অনেক রোগের চিকিৎসা আমরা দিতে পারছি না। আমরা আশা করি, আমরা যেভাবে চিকিৎসা দিচ্ছি, আরও ভালো করবো।
জাহিদ মালেক বলেন, আমি গর্বের সাথে বলতে পারি, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবাই ভালো কাজ করছে জন্য আমাদের অর্থনীতি এখনো ভালো চলছে। গ্রোথ এখনো ছয় শতাংশ আছে। বড় বড় রাষ্ট্র যেখানে মাইনাসে চলে গেছে। খাদ্যের অভাব হয়নি যেহেতু করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের সমস্ত উন্নয়ন কাজ অব্যাহত আছে। রেকর্ড রেমিট্যান্স আসছে। যেহেতু আমাদের দেশ এখনো ভালো আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা কোভিডকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মন্ত্রীর পাশে থেকে এই মহামারী মোকাবেলার কথা জানান।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে গত ২ এপ্রিল, ২০২১ দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। এদের মধ্য থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এবারের ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি, ওভার সাইট কমিটি ও বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হয়েছিল। এ বছর সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের জন্য অতিরিক্ত ২৮২টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. ইউসুফ ফকিরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ডা. ইকবাল আর্সেনাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের বিসি প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ, বিসিপিএস-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. কাজী দীন মোহাম্মদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. টিটু মিয়া।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।