পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক ও কর্মীরা। লকডাউনের মধ্যে শনিবার থেকে বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে এবং পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেন তারা। এ অবস্থায় শ্রমিকদের ভোগান্তি কমাতে রোববার একদিনের জন্য গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা যায় বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহনে শ্রমিক-কর্মীদের চেয়ে সাধারণ যাত্রীই বেশি ছিল। আবার লঞ্চে দাঁড়ানোর জায়গা নেই অথচ ভাড়া আদায় করা হয়েছে তিন গুন চারগুন বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কারখানা খুলে দেওয়ার কথা শুরু হলে শুক্রবার গত রাত, শনিবার দিন ও রাতে বেশিরভাগ পোশাক শ্রমিকরা কর্মস্থলের আশপাশে চলে আসেন। পরে রোববার সকালে বাস চালু হওয়ায় সড়কের কোনও কোনও স্থানে গণপরিবহন থেকে পোশাক শ্রমিকদের উঠানামা করতে দেখা গেছে। অনেকে এদিনও পিকাপভ্যান ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, ব্যাটারি এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
তবে গণপরিবহনে শ্রমিক-কর্মীদের চেয়ে সাধারণ যাত্রীই বেশি ছিল বলে বিভিন্ন পরিবহনের কর্মীরা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার ও শনিবারেই বেশিরভাগ কর্মী কারখানা এলাকার আশপাশে চলে আসেন। রোববার তাই চাপ কম। তবে গণপরিবহন চলাচল শুরু করায় সাধারণ যাত্রীরাই বেশি আসছেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ কারণে বেশিরভাগ শ্রমিক-কর্মী ট্রাক-পিকআপভ্যানের মাধ্যমে স্বল্প খরচে গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছেন। এ কারণেও গণপরিবহনে শ্রমিক-কর্মীদের তুলনায় সাধারণ যাত্রী বেশি ছিল।
এদিকে কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ায় কর্মস্থলে ফেরা সদরঘাটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই হাজার হাজার মানুষের ঢল দেখা গেছে। ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুন বেশি যাত্রী নেয়া হচ্ছে লঞ্চগুলোতে। যাত্রীদের অভিযোগ এই সুযোগে দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা বলেন, লঞ্চে পা ফেলানোর জায়গা নেই। অথচ প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে দ্বিগুন তিনগুন ভাড়া আদায় করা হয়েছে। লঞ্চ মালিকদের দাবি ফিরতি সময় যাত্রী পাওয়া যাবে না। এ অজুহাতে বেশি ভাড়া আদায় করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।