পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : কিছুটা বাড়তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিতে। ডিসেম্বর শেষে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতটির প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪.১৯%। যা কিছুটা বাড়তির আভাস দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুয়ায়ী, চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের ষষ্ঠ মাস পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ৫০৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৪৩,৪০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে গত ডিসেম্বরে ঋণের প্রবাহ বেড়েছে ১৪.১৯%। নভেম্বরেও যা ছিল ১৩.৭২%। সরকারি বিনিয়োগে গতি না থাকায় ধারণা করা হচ্ছিল ডিসেম্বর শেষে তা ১৩.৮% পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থবছরের শুরুতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৫% আশা করা হলেও ছয় মাস পরে তা ১৪.৮% পর্যন্ত প্রাক্কলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণ প্রবাহে চাঙ্গাভাব আনতে নীতি সুদহারও কমিয়ে আনা হয়। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের ইতিবাচক ধারার পরিপ্রেক্ষিতে মুদ্রানীতিতে ঘোষিত ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা করতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ঋণ প্রবাহে ভাটা পড়ে। পরেও রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রলম্বিত হওয়ায় ঋণ প্রবাহে মন্দাভাব বজায় ছিল। তারা আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা ও ব্যাংক ঋণের সুদ হার কমে আসার ফলে ঋণ প্রবাহে আবার গতি এসেছে। বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে তা আরও বাড়তে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ১৪.৮০% ঋণ প্রবৃদ্ধি থাকলেও এক মাস পরে তা ১৪ শতাংশে নেমে আসে। এরপর থেকে এবারই প্রথমবারের মতো বেসরকারি ঋণের প্রবাহ ১৪ শতাংশের ঘর ছাড়িয়ে গেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।