Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশুগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় দু’গ্রামে উত্তেজনা

নৌকায় উচ্চ আওয়াজে গান বাজানোর অভিযোগ

আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজলো সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০২ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে করোনায় বিধি নিষেধ উপক্ষো করে নৌকায় মাইকে উচ্চ আওয়াজে গান বাজানো নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইদল গ্রামবাসীর মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে এলাকাবাসী। এই বিষয়টি উভয় পক্ষই মিমাংসা করতে সম্মতি থাকলেও স্থানীয় একটি মহল সালিশের স্থান নিয়ে গোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনায় বিধি নিষেধ উপক্ষো করে লালপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকার হাফেজ মিজানুর রহমানের ছেলে মুজাহিদের নেতৃত্বে শতাধীক যুবক আখাউড়ার কেল্লাশহীদ মাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি নৌকা ভাড়া করে। গত ২২ জুলাই সকালে মাজারে যাওয়ার পথিমধ্যে তারা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে পুনরায় তারা শরীফপুর কান্দাপাড়া ও হোসেনপুর টানপাড়ার মাঝ খানের খালে এসে নৌকা নোঙ্গর করে এবং এখানেই তারা দুপুরের খাবার শেষ করেন। দুপুরের খাবার গ্রহনের আগে থেকেই তারা নৌকায় মাইক ও স্পিকার দিয়ে উচ্চসুরে গানবাজনা ও নাচানাচি করছিলেন। এভাবেই তারা রাতেও মাইক ও স্পিকার বাজিয়ে গানবাজনা ও নাচানাচি অব্যাহত রাখেন। পাশে একটি মসজিদ থাকলেও তারা মাগরিব ও এশার সময় গানবাজনা বন্ধ করেনি। এক পর্যায়ে তাদের নিষেধও করা হয়। গভীর রাতেও যখন তারা উচ্চসুরে গান বাজনা চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে শরীফপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সাজিদ আহমেদ গান বাজনা বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এনিয়ে নৌকায় থাকা মুজাহিদের সাথে সাজিদের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সাজিদকে তারা নৌকায় উঠিয়ে হোসেনপুর টানপাড়া নিয়ে যায় বলে তার পরিবার অভিযোগ করেন। পরে খবর পেয়ে শরীফপুর কান্দাপাড়ার লোকজন খালের ওপার গিয়ে সাজিদেেক উদ্ধার করে। এসময় কান্দাপাড়ার লোকজন মুজাহিদের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তিতে বিষয়টি নিস্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হলেও সালিশের স্থান নিয়ে বিরোধে কারণে তা আর সমাধান হয়নি। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে লালপুরের হোসেনপাড়ার লোকজনের হুমকিতে শরীফপুরের কান্দাপাড়ার লোকজন লালপুর বাজারে যাতায়ত বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মুজাহিদের বাবা হাফেজ মিজানুর রহমান জানান, শরীফপুরের কান্দাপাডার লোকজনকে মারধর করা হয়নী বরং তারা রাতের বেলা আমার বাড়িতে এসে আক্রমণ চালিয়ে ঘর-দুয়ার ভাঙচুর করেছে। এ বিষয়ে তিনি থানায় একটি অভিযোগও করেছেন বলে জানান ।
ভাঙচুরের অভিযোগের ব্যাপারে সাজিদের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গভীর রাতে এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় গিয়ে আক্রমণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা কারও বাড়িঘরে আক্রমণ করেনি সুতরাং বাড়িঘর ভাঙচুর করার প্রশ্নই উঠে না। অথচ মিজানুর রহমান আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরও তারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হামলা করার হুমকি দিচ্ছে। সংঘর্ষ এড়াতে আমাদের গ্রামের লোকজন লালপুর বাজারে যাতায়ত বন্ধ রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ