পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় মৃত্যু থামছেই না। মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৬৮৫ জনের। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৪ জন। মৃত ২১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ জন ও ৮৪ জন নারী। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৭৮ হাজার ২১২ জন।
এতে জানানো হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৪৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি,র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৬৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ৯৭৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৮০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪টি। এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ১৪। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ২৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে নয় জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫৬ জন, বেসরকারি ৪৯ হাসপাতালে জন এবং বাড়িতে ১৩ জন মারা যান। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন ২ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৬ জন এবং ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২ হাজার ৯৭০ ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭২৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ৩০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮৩ হাজার ৬৯৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।