রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জীবনযুদ্ধে জীবিকার জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরতে হয় বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনকে। সিঙ্গা লাগানো, দাঁতের পোক ফালানো, বিষ বেদনা অপসারণ ও সাপের খেলা দেখানো এসব কর্মযজ্ঞেই গ্রাম থেকে নগরে ঘুরে বেড়ায় বেদেরা। কিন্তু বর্তমানে বেদেদের এ কাজের সাড়াশব্দ নেই। মহামারি করোনা আর লকডাউন বেদেদের জীবনের কর্মযজ্ঞ থমকে দিয়েছে।
জানা যায়, সারা দেশের বেদেদের মতো কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া বেদে পল্লীতেও করোনা ও লকডাউনের দিন বদলের পালায় কঠিন জীবন পার করছে বেদে সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ, শিশুরা। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদে বেদে পল্লীটি অবস্থিত। ঝড় বৃষ্টির মধ্যেও খোলা আকাশের নিচে পলিথিন কিংবা পাটের বস্তা দিয়ে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে জীবন যাপন করছে। এখানকার ১১টি পরিবারের প্রায় ৪০জন সদস্য লকডাউনের কারণে পার করছে মানবেতর জীবন যাপন।
বেদে পল্লীর মজিব মিয়া জানান, কঠোর লকডাউনে কোনো কাজকর্ম না থাকায় খেয়ে না খেয়ে আমরা এখন দিনাপাত করছি। বেদে বাতাসী বেগম জানান, মানুষের বাড়িতে গেলেই আজকাল তাড়িয়ে দেয়। আমরা প্রতিদিন সিঙ্গা লাগানো, ঝাড়ফুক এবং বিভিন্ন ধরনের তাবিজ কবজ এবং সাপের খেলা দেখিয়ে যে টাকা আয় হয় সেই টাকা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। কিন্তু লকডাউনে কোনো কর্ম করা যাচ্ছে না। আর করোনায় আমরা যেসব কাজ জানি তাও বাড়ি বাড়ি ঘুরে করা যায় না। এতো কষ্টে আছি যা বুঝানো যাবে না। কাকলি বিবি জানান, দিন বিশেক আগে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার পেয়েছি। এসব দিয়ে কোনোরকমে চলেছে। কিন্তু এখন তো খাওয়ার কিছু নেই। এলাকার মানুষ মাঝেমধ্যে কিছু দেয়। এভাবে আর কতদিন। করোনার এই সময়টাতে সরকার আমাদের মতো বেদেদের জন্য খাদ্য ও অর্থ সাহায্য করলে আমরা বেঁচে থাকতে পারবো। বড় মানবেতর জীবন পার করছি আমরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।