বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
জালাল উদ্দিন ওমর
পাটকে বলা হত সোনালী আঁশ। এই পাটই ছিল এক সময়ের বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। পাটজাত দ্রব্যই ছিল এদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস। পাটের গুরুত্ব অনুধাবন করে পাট সম্বন্ধে যাতে সবাই জানতে পারে সেজন্য পাটকে পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আজ থেকে পনেরো বছর আগেও যিনি অন্তত পক্ষে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছে তিনি অবশ্যই পাট সম্পর্কে অধ্যয়ন করেছে। পাট সম্পর্কে একাধিকার রচনা মুখস্ত করেনি এমন ছাত্র তখন বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যেত না। এদেশের অর্থনীতিতে পাটের গুরুত্ব কি রকম ছিল তা বুঝার জন্যই এ কয়েকটি কথা উল্লেখ করলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সোনালী আঁশের সেই সুদিন এখন আর নেই। পাট এখন আর এদেশের সোনালী আঁশ নয়, বরং একটি রুগ্ন শিল্পের নাম। পাট শিল্প মানেই একটি অনিশ্চয়তা, পাট শিল্প মানেই অর্থনীতিতে একটি বোঝা। দীর্ঘদিন ধরেই পাট শিল্পে দুর্দিন চলছে। অব্যাহতভাবে লোকসান দিতে দিতে পাটকলগুলো পঙ্গু হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর এই পাটকলগুলোর শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ করতে গিয়ে সরকারকে ব্যয় করতে হচ্ছে কয়েকশ’ কোটি টাকা। অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, অনেক পাটকল তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা পর্যন্ত পরিশোধ করতে পারে না। কিন্তু দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পাট শিল্পকে অবশ্যই টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই পাট শিল্পের উন্নয়নের জন্য আজ দেশের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে পাট শিল্পকে পুনরুজ্জীবন করতে হবে। দেশ এবং জাতির স্বার্থে সোনালী আঁশের সর্বনাশকে রুখতে হবে এবং এর সুদিনকে আবারো ফিরিয়ে আনতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পাটশিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখনো এই শিল্পে প্রায় ঢেড়লক্ষ মানুষ কর্মরত আছে। এক সময় বিশ্ব পাট বাজারের সিংহভাগই বাংলাদেশ পূরণ করত। বাকিটা পূরণ করত ভারত। মূলতপক্ষে ভারত এবং বাংলাদেশই পাট শিল্পের জন্য বিখ্যাত ছিল। এখানকার জমি পাট চাষের জন্য উপযোগী বিধায় এ অঞ্চলেই পাট চাষ বিকাশ লাভ করেছিল এবং এখানেই গড়ে ওঠেছিল বড় বড় পাটকল। এ অঞ্চল থেকেই উৎপাদিত পাটই সারা বিশ্বে রপ্তানি হত এবং বিশ্ববাজারের পাটের চাহিদা পূরণ করত। স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এদেশে পাট শিল্পের অবস্থান ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই এদেশের পাট শিল্পে আস্তে আস্তে বিপর্যয় নেমে আসে। এদেশে যে সমস্ত পাট শিল্প গড়ে ওঠে তার অধিকাংশ মালিক ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি। পাট শিল্পের কারিগরি দক্ষতা এবং এই ব্যবসার আমদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক নিয়ন্ত্রণ মূলত তাদের হাতেই ছিল। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পশ্চিম পাকিস্তানিরা তাদের পাটকলগুলো এদেশের ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দেয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার পাটকলগুলোকে জাতীয়করণ করে এবং বিজেএমসির তত্বাবধায়নে এসবের পরিচালনা শুরু করে। সরকারি মালিকানায় যাওয়ার পর থেকেই পাট শিল্পগুলো আস্তে আস্তে রুগ্ন হতে থাকে। দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, জবাবদিহিতার অভাব, কথায় কথায় সিবিএর আন্দোলন এবং আর্থিক অস্বচ্ছতা আস্তে আস্তে পাট কলগুলোতে স্থান লাভ করে। শ্রমিকেরা ঠিক মত কাজ না করায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। এদিকে অফিস সময়ে কাজ না করলেও, কাজের সময়কে বাড়িয়ে কিভাবে ওভার টাইম আদায় করা যায় সে ব্যবস্থাও চলতে থাকে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবার কারণে বাজারে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার জন্য পাটকলগুলোকে কখনই আধুনিকায়ন করা হয়নি। ফলে সময়ের সাথে সাথে পাটকলগুলো আপডেট না হওয়ায় এগুলো বেকডেটেট রয়ে গেছে এবং সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাটকলগুলো ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় পাটকলগুলো আস্তে আস্তে লাভজনক অবস্থান থেকে ছিটকে পড়ে এবং লোকসান দিতে শুরু করে। সময়ের পরিক্রমায় পাটকলগুলো রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয় এবং সরকারের জন্য এক একটি বোঝায় পরিণত হয়। পাটকলগুলো লাভজনক না হওয়া সত্ত্বেও, সরকারকে প্রতিবছর এই মিলগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধ করতে গিয়ে কয়েকশ’ কোটি টাকা করে ব্যয় করতে হয়, যার পুরোটাই লোকসান ছাড়া আর কিছুই নয়। এভাবে চলার এক পর্যায়ে সরকার বিভিন্ন পাটকল বন্ধ ঘোষণা করে। এ ধারাবহিকতায় ২০০২ সালে বিশ্বের বৃহত্তম পাটকল আদমজী বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে খুলনায় বন্ধ করা হয় আরো চারটি পাটকল। এ অবস্থায় এদেশে পাট শিল্পের অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। এ অবস্থায় পাট শিল্পকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং একে পুনরুজ্জীবনের জন্য কাজ করতে হবে।
সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ১৭৭টি পাটকল রয়েছে। তন্মধ্যে সরকারি মালিকানায় ২৭টি এবং বেসরকারি মালিকানায় ১৫০টি। পাটকলগুলো মূলত দু’ধরনের। একটি হচ্ছে প্রচলিত পণ্য উৎপাদনকারী অর্থাৎ কনভেনশনাল পাটকল, যেগুলো পাটের বস্তা, হেসিয়ান ও সিবিসি উৎপাদন করে থাকে। অপরগুলো হচ্ছে পাটসুতা উৎপাদনকারী পাটকল, যেগুলো পাটসুতা উৎপাদন করে থাকে। এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী এদেশে ২০১০-১১ সালে প্রায় ৮৪ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়, যা ২০১৪-১৫ সালে-এর পরিমাণ ৭৬ লাখ বেলে নেমে আসে। কিন্তু বর্তমানে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। ফলে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৯৫ লাখ বেল। চার বছর আগে বছরে ২২/২৩ লাখ বেল কাঁচা পাট রপ্তানি হত। মূল ক্রেতা ছিল ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু বিশ^ অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশ দুটি পাট কেনা কমিয়ে দেয়, ফলে তা ১০/১২ লাখ বেলে নেমে আসে। কিন্তু বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কাঁচা পাট রপ্তানি ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এটা অবশ্যই আমাদের পাট শিল্পের জন্য সুখবর। জুট স্পিনার্স এসোশিয়েশনের তথ্য মতে দেশের ৭৭টি পাটকলে প্রায় পাঁচ লাখ টন সুতা উৎপাদিত হয়, যার ৭০ শতাংশ রপ্তানি হয় এবং বাকি ৩০ শতাংশ দেশে ব্যবহৃত হয়।
যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে এদেশের পাট শিল্পের উন্নতি সাধন করতে হবে এবং এর সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এটা সম্ভব। কারণ বিশ্বব্যাপী পাটজাত পণ্যের এখনো বিশাল বাজার রয়েছে। পাটজাত দ্রব্য পরিবেশবান্ধব বিধায় এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভবিষ্যতে এর ব্যবহার আরো বাড়বে। সুতরাং পাটজাত পণ্যের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল এবং একই সাথে পাট শিল্পের ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল। তাই পাট শিল্পের উন্নয়নে সরকারি উদ্দ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সাথে সাথে বেসরকারি উদ্দ্যোগের সমন্বয় ঘটাতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ বাস্তবায়ন করেছে। ফলে দেশীয় বাজারে পাটের বস্তার চাহিদা ৩০% বেড়েছে। আগে বছরে সাড়ে তিন কোটি পাটের বস্তার চাহিদা থাকলেও এখন তা সাড়ে চার কোটিতে উন্নীত হয়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে তা ছয় কোটিতে উন্নীত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আইনটি শতভাগ বাস্তবায়ন হলে বছরে ৬৯ কোটি পাটের বস্তার প্রয়োজন হবে, যা জন্য প্রায় ২২ লাখ বেল পাটের প্রয়োজন হবে। পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবনের স্বার্থে সরকার নি¤েœাক্ত প্রস্তাবনাসমূহ বিবেচনা করতে পারে এবং আমি মনে করি এই প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে এই শিল্পের অবস্থা আস্তে আস্তে উন্নতি লাভ করবে। প্রথমত যেসব পাটকল আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত তাদেরকে স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক ঋণ দিতে হবে। এইসব পাটকলের বিপরীতে যদি খেলাপি ঋণ থাকে, তাহলে সেই খেলাপি ঋণকে পুনঃতফশিলের ব্যবস্থা করে দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধের সুযোগ দিতে হবে। সরকারি মালিকানায় যে সমস্ত পাটকল রয়েছে, এগুলোতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে এবং একই সাথে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এগুলোতে কাজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্বিতীয়ত পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে। পুরাতন মেশিনারিজসমূহ পরিবর্তন করে নতুন এবং আধুনিক মেশিনারিজ স্থাপন করতে হবে। পাট শিল্পে যে সমস্ত নতুন টেকনোলজি আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলোর প্রয়োগের মাধ্যমে পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে। তৃতীয়ত সরকারি মিলগুলোকে ক্রমান্বয়ে বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসঙ্গত একটি কথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আর তা হচ্ছে সরকারি মালিকানায় শিল্পের বিকাশ সম্ভব নয়। এটা অতীতেও যেমন কোন দেশে হয়নি, তেমনি ভবিষ্যতেও হবে না। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যেমেই শিল্পায়ন সম্ভব। সুতরাং সরকারি মালিকানার পাটকলগুলোকে যথাযথ উপায়ে যদি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে এই শিল্প আবারো বিকশিত হবে। চতুর্থত পাটজাত দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং এজন্য দেশে এর বাজার সৃষ্টি করতে হবে। পাটজাত দ্রব্য পরিবেশবান্ধব বিধায় এর ব্যাপক ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সরকার পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। পাটের ব্যাগ এই চাহিদা সহজেই পূরণ করতে পারে। অধিকন্তু চাল, ডাল, আলু, মরিচ, গম, ভুট্টা, ছোলা প্রভৃতি পণ্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সহজেই পাটের বস্তা ব্যবহার করা যায়। এছাড়া স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারে। প্রতিটি ছাত্রছাত্রী যদি স্কুল ব্যাগের জন্য পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করে, তাহলে পাটজাত পণ্যের বিশাল বাজার সৃষ্টি হবে। এছাড়া শপিং ব্যাগ হিসেবে পাটজাত ব্যাগ সহজেই ব্যবহার করা যায়। তখন অটোমেটিক্যালি দেশে পাটজাত পণ্যের বিশাল বাজার সৃষ্টি হবে। মনে রাখতে হবে অভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টি করা না গেলে কোন শিল্পকে বিকশিত করা যাবে না। এ অবস্থায় পাট শিল্পকে বিকশিত করতে হলে এর উৎপাদিত পণ্যের অভ্যন্তরীণ বাজারকে আরো বড় করতে হবে। এ জন্য সরকারকে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পঞ্চমত পাটজাত পণ্যের রপ্তানির বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে ইনসেনটিভের পরিমাণকে বাড়াতে হবে। বর্তমানে পাটপণ্য রপ্তানির বিপরীতে সরকার এফওবি মূল্যের ভিত্তিতে ১০% ইনসেনটিভ দিচ্ছে। পাট শিল্পকে বিকশিত করতে এবং এর উৎপাদিত পণ্য সমূহের রপ্তানি বাড়াতে এই ইনসেনটিভের পরিমাণ বাড়িয়ে কমপক্ষে ১৫% করা উচিত। ষষ্ঠত এই শিল্পে নতুন উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে এবং কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পাট শিল্পকে কমপক্ষে পাঁচ বছর ট্যাক্স ফ্রি করতে হবে।
সর্বোপরি পাট শিল্পকে মনিটরিং করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে হবে, যেটি পাট শিল্পের সমস্যাসমূহ দূর করতে এবং একই সাথে এই শিল্পকে বিকশিত করতে কাজ করবে। আশা করা যায় এর মাধ্যমে সোনালী আঁশের সুদিনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। এক সময় বাংলাদেশ পাট শিল্পে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছিল, যা অনেক দেশের কাছেই অসহনীয়। আমরা আবারো সোনালী আঁশের সেই সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই। অতএব আসুন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে পাট শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং কাজ করি। আসুন, এর মাধ্যমে সোনালী আঁশের সুদিনকে আবারো ফিরিয়ে আনি এবং দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল ও শক্তিশালী করি। আর আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থেই এটা জরুরি এবং অপরিহার্য।
লেখক : প্রকৌশলী ও কলামিস্ট
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।