বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বাংলাদেশ ভারতের রেল সংযোগ শুরু করতে ভারতীয় রেলের পাওয়ার ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিটের দিকে ভারতের হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া এলাকা দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চিলাহাটি স্টেশনে ছুঁটে আসে ট্রায়াল রানের ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি ২টি। সেই ট্রায়াল পাওয়ার ইঞ্জিনে ছিল ভারতীয় রেলওয়ের ১২ জন কর্মকর্তা। দীর্ঘ ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি ট্রেন রুটকে পুনরুজ্জীবিত করে এই ট্রায়াল রান। ভারতের রেল কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এসআর নির্মল গোরামি, নরদ পোদ্দার, বিনোদ কুমার, মুকেশ কুমার সিং, এলপি বিবেকানন্দ চৌধুরী, মনোজিৎ পাল চৌধুরী, রাবিশ পাটেল, রাকেশ কুমার, এএলপি অরিজিৎ রায়, ঋতু রাজ, অর্ক দাস ও গৌরভ কুমার।
ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি ২টি নো-ম্যান্স ল্যান্ড পার হয়ে জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় ভারতীয় রেল কর্মকর্তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিলাহাটি রেলস্টেশনের স্টেশন মাষ্টার আশরাফুল ইসলাম, রেলওয়ে কর্মকর্তা সুলতান মৃর্ধা, ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান, চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম, চিলাহাটি বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার খোদা বক্স ও সৈয়দপুর জিআরপি থানার এসআই শাহাজাহান।
এরপর ভারতীয় রেল কর্মকর্তারা চিলাহাটি রেলস্টেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এ সময় ভারতীয় রেল কর্মকর্তাএলপি বিবেকানন্দ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকে এই পথ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ভারতীয় মালবাহী ওয়াগান যাতায়াত করবে। সেই কারনেই আজকের এই ট্রায়াল রান।
উল্লেখ্য যে, ১৯৪৭ সালের ভারতের স্বাধীনতার আগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি দিয়ে সরাসরি কলকাতার রেল যোগাযোগ চালু ছিল। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।