Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টিকার জন্য সবাই মুখিয়ে

ভারত ঠকালেও পাশে দাঁড়িয়েছে জাপান রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সুধীজন, সমাজসেবক, সাংস্কৃতিকর্মী, ক্লাব, পাঠাগার, মসজিদের ইমাম, আলেম-উলামা, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ‘টিকা টিকা টিকা’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই স্লোগান কার্যকর করে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো করোনা নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। অর্থনীতিকে গতিশীল করার চেষ্টা করছে। দেরিতে হলেও বাংলাদেশে গণটিকার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় কম মানুষকে টিকার আওতায় আনা হলেও ইতোমধ্যে প্রায় সোয়া কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট শুরু হবে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম। দেশের কয়েকটি জেলার গ্রাম পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মফস্বল শহর, গ্রাম, চরাঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ টিকা নেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। ৭ আগস্ট গ্রামে গণটিকা কার্যক্রমের ঘোষণা আসায় হাজারো গ্রামের সমাজসেবীরা মানুষকে টিকা দেয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে নাম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বর্তমানে ৩৫ বছর বয়সীদের টিকা কার্যক্রম চললেও ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

ভারতের মোদি বাংলাদেশে আসা সেরামের কোভিশিল্ড টিকার চালান আটকে দেয়ায় প্রথম ডোজ নেয়া ১৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তায় পড়েন; জাপান থেকে আনা টিকা তাদের দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যত টাকাই লাগুক দেশের সকলকে টিকার আওতায় আনা হবে। তিনি গত ২৭ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সকলকে গ্রামের গণটিকা কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশে ২১ কোটি ডোজ টিকা আনার প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে এসব টিকা আনা হবে এবং টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে প্রক্রিয়ায় টিকা কার্যক্রম চলছে তাতে দেশের সবার টিকা পেতে ১০ বছর লেগে যাবে। সরকারের একার পক্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব নয়। এ জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে; দল মতের উর্ধ্বে উঠে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যেমন রাজনীতিক ও সমাজসেবীরা নানা ভাবে দুর্গতদের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, তেমনি আন্তর্জাকিত দুর্যোগ করোনা মোকাবিলায় টিকা কার্যক্রমে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সুধীজন, মসজিদের ইমাম, আলেম-উলামা, সমাজসেবক, সাংস্কৃতিকর্মী, ক্লাব, পাঠাগার, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষক যেখানে যেভাবে প্রয়োজন তাদের নিয়ে ‘করোনা টিকা স্বেচ্ছাসেবক কমিটি’ গঠন করে সবস্তরে টিকা দেয়ার কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনীতিকদের ভ‚মিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন স্তরে গঠন করতে হবে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি। গ্রামের কমিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে; ইউনিয়নের কমিটি উপজেলা পর্যায়ে; উপজেলার কমিটি জেলা পর্যায়ে এবং জেলার কমিটি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যোগাযোগ রেখে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব কমিটিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে টিকা ও যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহ এবং দেখভাল করবে। এ ছাড়াও গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করা এবং করোনা চিকিৎসা দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিমকে কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রয়োজনে উপজেলা এবং ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।

গতকালও করোনায় মারা গেছেন আরো ২৩৭ জন। এটা নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ হাজার ৮৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৩০ জন। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ। অথচ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে হলে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলা ধরা হয়। প্রায় ১৮ কোটি মানুষের দেশে মাত্র অর্ধলক্ষ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন কমপক্ষ্যে ১০ লাখ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা উচিত।

রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, কুমিল্লা, হবিগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামের মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ে এখনো সচেতন না হলেও টিকা নেয়ার জন্য খোঁজ খবর নিচ্ছেন। গ্রামের মানুষ জানেন না কোথায় এবং কিভাবে নমুনা দিতে হয় এবং টিকা নিতে হয়। নমুনা দেয়া ও টিকা নেয়ার আগ্রহ থেকেই গ্রামের হাট-বাজার ও আশপাশের শিক্ষিক লোকজনের কাছে জানার চেষ্টা করছেন কোথায় এবং কিভাবে টিকা নেয়া যায়। রংপুর পীরগাছা মহিলা কলেজের অধ্যাপক আমিন উল্লাহ জানান, গ্রামের মানুষ টিকা নেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। গ্রামের হাটে গিয়ে তারা টিকার খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে যাচ্ছেন। কেউ উপজেলা ও পৌরসভার স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইনকিলাব প্রতিনিধি জানালেন, সেখানে গ্রামের মানুষ টিকা নেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন। তবে উপজেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় তারা হতাশ। করোনা উপসর্গ হলেই একশ থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে রংপুর মেডিক্যালে যেতে হয় পরীক্ষার জন্য। সে কারণে অনেকের অবশ্য টিকা নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ কম। তবে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭ আগস্ট টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় মানুষ উৎসাহী হয়ে উঠছেন।

এদিকে গণটিকা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন্ দেশ থেকে টিকা আসছে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে। ভারতের সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করে দিলেও ১৪ লাখ মানুষের টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি বিশ্বের ১৫টি দেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। জাপানের উপহারের তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২৯ লাখ টিকা পাবে। তার প্রথম চালান দেশে এসেছে কয়েকদিন আগে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, খুব দ্রæত দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষমাণদের টিকা দেওয়া শুরু হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এখন অনলাইনে নিবন্ধন না করেও টিকা নেয়া যাবে। আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে গেলেই টিকা কার্যক্রমে কর্মরত কর্মীরা টিকা দিয়ে দেবেন। ইতোমধ্যেই গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মীদের সে ভাবে টিকা দেয়া হচ্ছে। এতে দেশের গ্রামাঞ্চলের যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে অনলাইনে নিবন্ধনের ঝামেলায় পড়তে হবে না। রাজশাহীর পদ্মার চরের একাধিক মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিবন্ধন করার জটিলতায় তারা টিকা নেয়ার চিন্তা বাদ দিয়েছিলেন। কিন্তু নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই ঘোষণায় চরের মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দেশের এক কোটি ২৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭৯ জন মানুষ করোনা টিকার আওতায় এসেছে। এঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮০ লাখ ১৮ হাজার ৬৮১ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৮ জন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪৯ লাখ ২ হাজার ৭৯০ আর নারী ৩১ লাখ ১৫ হাজার ৯২১ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৩২ আর নারী ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৩৬৬ জন। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন এক কোটি এক লাখ ১৮ হাজার ১১৯ জন মানুষ। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ১২২ জন। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৫০ হাজার ৫২৩ জন। আর মডার্নার টিকা নিয়েছেন ৪ লাখ ৮১ হাজার ৭১৫ জন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭১ এবং নারী ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৯২ এবং নারী ১৫ লাখ ৫২ হাজার ২৯৪ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৭৯ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫৪ জন।

সারা দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে চীনের সিনোফার্মের টিকার প্রয়োগ। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকাদান কর্মসূচিতে এ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৭ এবং নারী ৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৫ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৮ জন প্রথম ডোজ এবং ১৭ হাজার ৪২৪ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ৯ লাখ ৫৮ হাজার ২৮৪ এবং নারী ৭ লাখ ৮ হাজার ৪১৪ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৮ হাজার ৪৭৩ জন পুরুষ এবং নারী ৮ হাজার ৯৫১ জন। ১৩ জুলাই থেকে দেশের সিটি করপোরেশনগুলোতে মডার্নার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত এই টিকা নিয়েছেন ৪ লাখ ৮১ হাজার ৭১৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৯২ হাজার ১৬২ ও নারী ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫৩ জন। ঢাকার ৭টি কেন্দ্রে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা নিয়েছেন ৫০ হাজার ৫২৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪৩ হাজার ৪০২ এবং নারী ৭ হাজার ১২১ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫০ হাজার ২৩৫ জন প্রথম ডোজ এবং ২৮৮ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ৪৩ হাজার ২৩৫ এবং নারী ৭ হাজার জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী ১৬৭ জন পুরুষ এবং নারী ১২১ জন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিকা সরবরাহে চীন এগিয়ে আসায় বাংলাদেশের আর টিকা নিয়ে সঙ্কটে পড়তে হবে না। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট যদি টিকা নাও দেয় তাহলেও বাংলাদেশ গণটিকা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

জানতে চাইলে জনস্বাস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, এখন প্রতি মাসে এক কোটি লোককে টিকা দেয়া প্রয়োজন। কারণ টিকার কার্যকারিতা এক বছর। সেটা হলে এক বছরে সবাইকে টিকা দেয়া যাবে। কিন্তু ২৫ লাখ মানুষকে প্রতিমাসে টিকা দেয়া হলে অনন্তকাল ধরে দিতে হবে। কারণ এরইমধ্যে আবার পুরনোদের টিকা দিতে হবে।



 

Show all comments
  • Raijuddin Ahmed ২৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
    সবার জন‍্য টিকা নিশ্চিত করা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • MD Abu Hanif ২৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪৭ এএম says : 0
    হে আল্লাহ্ আমাদেরকে এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি দিন।আপনি একমাত্র রহমাতের মালিক
    Total Reply(0) Reply
  • Omar Faruk ২৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪৭ এএম says : 0
    গ্রামের অবস্থা আরো ভয়াভহ । মানুষকে ভাক্সিন এর আওতায় আনতে হবে । অনেক মৃত্যু হচ্ছে যা রেকর্ডও করা হচ্ছে নাহ । আল্লাহ্‌ আমাদের রক্ষা করুন । আমিন ।
    Total Reply(0) Reply
  • আলীম ২৯ জুলাই, ২০২১, ১:৫০ এএম says : 0
    মহামারির এই সময়ে টিকা পেতে আবেদন করার পর মোবাইলে মেসেজ আসার জন্য কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয় তারপর টিকা পাবে ডিজিটাল সিষ্টেমে এটি মেনে নেয়া যায় না
    Total Reply(0) Reply
  • Ayubur Rahman Pavel ২৯ জুলাই, ২০২১, ১:৫৭ এএম says : 0
    এসব লকডাউন শাট ডাউন বন্ধ করুন এবং গণ টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi S. Rahman ২৯ জুলাই, ২০২১, ১:৫৯ এএম says : 0
    অথচ শুরুটা কি দুর্দান্ত হয়েছিল। বিশ্বে কয়েকটা দেশ মাত্র আমাদের সাথে শুরু করতে পেরেছিল টিকা কর্মসূচি।আশাকরি সরকার যতদূর সম্ভব সবগুলো টিকা উৎপাদনকারী দেশের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবে, সাথে সাথে নিজেদের দেশে টিকা উৎপাদনের ব্যাবস্থা করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • জব্বার ২৯ জুলাই, ২০২১, ২:০১ এএম says : 0
    করোনা টিকা কার্যক্রম কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে চলছে। একজন লোক করোনা টিকার জন্য নিবন্ধন করে মোবাইলে ম্যাসেজের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আর যদি মোবাইলে ম্যাসেজ না আসে তাহলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে ম্যাসেজ এর ব্যবস্থা করতে হয়। এভাবে করতে গিয়ে মাস খানেক চলে যায়, এসব ভোগান্তির কারণে অনেকে করোনা টিকা নিতে সাহস পাচ্ছে না
    Total Reply(0) Reply
  • Md Sumon ২৯ জুলাই, ২০২১, ২:০২ এএম says : 0
    আমরা আশাবাদী একসময় ঘরে ঘরে খুঁজে বের করে জোর করে করোনার টিকা দেয়া হবে
    Total Reply(0) Reply
  • বান্নাহ ২৯ জুলাই, ২০২১, ২:০২ এএম says : 0
    আশা করি সরকার সকলের টিকা নিশ্চিত করবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ