পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদা চেয়ে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা আকতারুল করিম রুবেলকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বুধবার (২৮ জুলাই) বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় আকতারুল করিম রুবেলকে (উপ-দফতর সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আকতারুল করিম রুবেলের বিরুদ্ধে মাদকসেবন, চাঁদা দাবি এবং বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের এক কর্মচারীর কাছে চাঁদা চেয়ে তাকে মারধর করেন রুবেল। পরে রুবেলকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। ভুক্তভোগীর মামলা দায়েরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অভিযোগ রয়েছে, আকতারুল করিম রুবেল একজন ছিনতাইকারী ও মাদকবিক্রেতা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাজা নামেও তিনি পরিচিত।
নিজেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে থাকেন। আকতারের সঙ্গে জিয়া হলের ড্রপআউট শিক্ষার্থী ও তার বন্ধু ইশতিয়াক আহমেদ ইমনসহ আরও সাত থেকে আটজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিদিন ছিনতাই ও মাদক বিক্রি করে থাকেন৷ আরও জানা যায়, আকতার বর্তমানে উদ্যানের মাদক বিক্রেতা নেটওয়ার্কের প্রধান। উদ্যানের স্বাধীনতা জাদুঘরের পাশে অবস্থিত গ্লাস টাওয়ারের নিচে সাধারণত তিনি অবস্থান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।