পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সরকার চরম দলীয়করণ এবং অনুগত অযোগ্য ও সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের বসিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভিকারুননিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপালের ফোনালাপের তীব্র সমালোচনা করে তিনি অবিলম্বে প্রতিষ্ঠানটিতে দলবাজ, সন্ত্রাসী প্রিন্সিপালকে অপসারণ করে ন্যায়-নিষ্ঠ, ভদ্র, আদর্শবান, সৎ, নির্ভিক ও নির্দলীয় শিক্ষককে প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ দেয়ার আহবান জানান। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভিকারুননিসা নুন স্কুল এবং কলেজ দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে অতীতে স্বনামধন্য, যোগ্য শিক্ষকরাই দায়িত্ব পালন এবং দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য যে, বর্তমান সরকারের আমলে শুরু থেকেই ক্রমাগত নির্লজ্জ দলীয়করণ, ভর্তি বাণিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মান-মর্যাদা ধুলিস্যাত করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপালের মতো দায়িত্বশীল পদে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী-ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকাশিত ফোনালাপেই বোঝা যায়-কি তার পরিচয়! কি তার চরিত্র! এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এই দলবাজ, সন্ত্রাসী মহিলা যিনি কথায় কথায় ক্ষমতার দাপটে অস্ত্র ও লীগ নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি দেয়, প্রকাশের অনুপযোগী অশ্রাব্য-অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, তার হাতে শিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রী, অভিভাবকসহ কেউই নিরাপদ নয়। দলবাজ সরকার দলীয় আধিপত্য বিস্তার ও বজায় রাখতে ‘লেডি সন্ত্রাসী’ বসিয়ে এই স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস ও ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চায়। ভোটবিহীন সরকারের চরিত্র, ভাষা, ব্যবহার যে ধরণের, তাদের পছন্দের ব্যক্তিরাও একই ধরণের হবে-এটাই স্বাভাবিক।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই একই অবস্থা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে দলীয় অনুগত, এমনকি নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদেরকে ভিসি বা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মর্যাদা ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।