বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকায় রোগীর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগে ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজনরা। গতকাল দুপুরে নোয়াখালীর ১২০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদা আক্তার সদর উপজেলার ৪নং কাদির হানিফ ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর গ্রামের নুর মো. সুজনের স্ত্রী। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা যায়। কোভিড হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই ওই নারী করোনা পজেটিভ হয়ে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে নোয়াখালী কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়। একপর্যায়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাস রোগীর স্বজনদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অক্সিজেনের কোন অভাব ছিলো না। এসময় নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে আইসিইউতে থাকা ভেন্টিলেটর মেশিনসহ ৫-৬টি মেশিন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, আইসিইউ মেশিন ভাঙচুরের কারণে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হবে। আগামী ১ মাসের মধ্যে করেনায় গুরুতর অসুস্থ কোন রোগীকে আইসিইউ সেবা সহজে দেওয়া সম্ভব হবে না।
সুধারাম থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, করোনা হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ যাওয়ার আগে হাসপাতালে ভাঙচুরকারীরা লাশ নিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার জানান, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তবে রোগীর মৃত্যু ক্ষেত্রে অক্সিজেনের কোন অভাব ছিলো না বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও জানান, আগে থেকেই এ রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। অক্সিজেনের অভাব থাকলে একজন রোগী মারা যেত না। তাহলে বেশ কয়েকজন রোগী মারা যেত বলেও মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।