পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউনে শিল্প কারখানা বন্ধের অজুহাতে কারখানা মালিক ও আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারি না নেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের স্তুপ বাড়ছেই। দ্রুত শিল্পের কাঁচামালসহ আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ছাড় না করালে চট্টগ্রাম বন্দর তীব্র জটের মুখে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্দরের ইয়ার্ডসমূহে জট পরিস্থিতি এড়াতে সব ধরনের পণ্যবাহী কন্টেইনার বেসরকারি ডিপোতে (আইসিডি) সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে তাতেও গত দুই দিনে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডসমূহে কন্টেইনারের পাহাড় জমছে। খোলা পণ্যের স্তুপও বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মাত্র আড়াই হাজার টিইইউএস কন্টেইনার বেসরকারি ডিপোতে সরানো হয়েছে। তাতে গতকাল দিন শেষে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ১৮ টিইইউএস। যা সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার (৪৯ হাজার ১০০ টিইইউএস) কাছাকাছি। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৫৪ টিইইউএস। আর ডেলিভারি হয়েছে চার হাজার ৬৯৭ টিইইউএস।
চট্টগ্রামে সেবরকারি ১৯টি ডিপোতে (অফডক) স্তুপিকৃত ছিলো ৫৫ হাজার ৫৬৩ টিইইউএস কন্টেইনার। তার মধ্যে রফতানিমুখী পণ্য বোঝাই কন্টেইনারের সংখ্যা ১৩ হাজার ১০১ টিইইউএস। আমাদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ছিলো ১২ হাজার ৮৭২ টিইইউএস। খালি কন্টেইনার আছে ২৯ হাজার ৫৯০ টিইইউএস। আর ১৯টি ডিপোর সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৭৮ হাজার ৭০০ টিইইউএস। ডিপো মালিকরা বলছেন, দ্রুত পণ্য ছাড় না করালে ডিপোতেও অচলাবস্থা নেমে আসবে। এখনি ডিপো ছাড়িয়ে কন্টেইনারবাহী ভারী যান আশপাশের সড়কে রাখতে হচ্ছে।
তবে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, গত দুই দিনে ডেলিভারি পরিবহন বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে। জট পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি ডিপো মালিক সমিতি (বিকডা) এবং কাস্টম হাউস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সমন্বয়ে নেওয়া পদক্ষেপের সুফল মিলবে।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির সঙ্গে করোনা সংক্রমণরোধে দুই সপ্তাহের চলমান কঠোরতর লকডাউন আওতায় গার্মেন্টসহ বেশিরভাগ শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। অন্যদিকে দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে। শিল্পের কাঁচামালসহ অধিকাংশ আমদানি চালানের পণ্যভর্তি কন্টেইনার বন্দরে খালাস হচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় ছাড়করণ, ডেলিভারি পরিবহন কম হওয়ায় জট পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।
জানা গেছে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে কারখানা মালিকদের আমদানি কাঁচামাল দ্রæত ছাড় করাতে বলা হয়েছে। তবে মালিকদের অনেকে লকডাউনকে অজুহাত হিসাবে নিয়ে পণ্য ছাড়করণ থেকে বিরত রয়েছেন। তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ, কর্মীরা লকডাউনে আটকে আছেন। এতে পণ্য ডেলিভারি পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। যদিও সরকারি তরফে বলা হয়েছে জরুরি পণ্য পরিবহন লকডাউনের আওয়তামুুক্ত।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক ইনকিলাবকে বলেন, কন্টেইনার ডেলিভারি পরিবহন বাড়ছে। গতকাল ১২৯১ টিইইউএস কন্টেইনার ডিপোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এনবিআরএর অনুমোদন পাওয়ার পর সবধরনের কন্টেইনার ডিপোতে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বন্দর সকলের সাথে কাজ করছে। আশা করি দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিকদার বলেন, বন্দর থেকে ডিপোতে কন্টেইনার সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। তবে ডিপো থেকে আমদানিকারকরা পণ্য ছাড় না করলে ডিপোতেও তীব্র জট দেখা দেবে। ইতোমধ্যে ১৯টি ডিপোতে কন্টেইনারের সংখ্যা মোট ধারণক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। পণ্য ডেলিভারি পরিবহন না হলে কন্টেইনার রাখার জায়গা পাওয়া যাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।