বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুর মেডিকেল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরির ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করেছে কোতয়ালী পুলিশ। প্রকৃতপক্ষে প্রতারনার মাধ্যমে ট্রাক চালকদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল মুল উদ্দেশ্য।
আজ মঙ্গলবার মেট্রপলিটন পুলিশের প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ ফারুক আহমেদ (ডিবি এন্ড মিডিয়া)।
তিনি জানান, গত ইং ২৩ জুলাই রংপুর মেডিকেল থেকে ভুয়া চালানের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সিলিন্ডার নিতে আসা ৩টি ট্রাকসহ ৩ জন ট্রাক চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত । সোহেল ফকির (৪২), পিতা- মোঃ শাহিদ মেকার এবং মোঃ নাছিম হোসেন (২৯), পিতা-মৃত মোসলেম উদ্দিন মন্ডল নামের ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের উভয়ের বাড়ি পাবনা। ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজসে অভিনব কৌশলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন গাড়ির চালকের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তারা প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে দিনাজপুরস্থ ট্রাক ট্যাংকলরী কাভার্ডভ্যান ও ট্যাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের মনজুরুল আলমকে গত ২৩ জুলাই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আসামী সোহেল ফকির নিজেকে ডাঃ রেজাউল করিম বলে পরিচয় দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রুগীদের জন্য সরবরাহকৃত অক্সিজেনের খালি সিলিন্ডার ঢাকায় প্রেরণ ও ঢাকা হতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার আনার কথা বলে ট্রাক প্রতি ৪০ হাজার টাকা করে ০৩ টি ট্রাক ভাড়া করে। শ্রমিক ইউনিয়নের মনজুরুল উক্ত বিষয়টি ট্রাকের চালকের সাথে আলোচনা করলে ট্রাকের চালকেরা প্রস্তাবিত ভাড়ায় যেতে রাজী হয়। এ সময় তারাও কথিত ডাঃ রেজাউল করিম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ভাড়া ও গন্তব্যস্থল জেনে নেয়। অতঃপর ট্রাক চালকেরা শ্রমিক ইউনিয়ন হতে ট্রাক ভাড়া চালান নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে এসে কথিত ডাঃ রেজাউল করিমকে ফোন করে। ঐ সময় প্রতারক সোহেল ফকির রংপুর মেডিকেলে আছে এবং তাদের কাছে আসছে/আসছি বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। একপর্যায়ে প্রতারক সোহেল ফকির বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল ফ্রি করে দেয়ার কথা বলে ৩টি ট্রাকের জন্য ট্রাক চালকদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা একটি বিকাশ নাম্বারে দেওয়ার জন্য বললে ৩ চালক সেই বিকাশ নাম্বারে ৩ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। বিকাশে টাকা পাওয়ার পর এই দুই প্রতারক তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।
আসামীদ্বয় ইউটিউব, ফেসবুক কিংবা বিভিন্ন গাড়ির পিছনে থাকা মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ট্রাক ভাড়া প্রদানকারী দালালের সাথে কথা বলে প্রতারণার ক্ষেত্র তৈরী করে এবং ৩-৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।