পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ‘প্রতিবন্ধী অধিকার সুরক্ষা আইন’ লঙ্ঘনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ‘ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ’ও ‘চ্যানেল আই’র বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোবার সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম সিদ্দিকী এ নোটিশ দেন।
একাধিক দৃষ্টান্ত তুলে ধরে নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি চ্যানেল আই টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানের অতিথি জনৈক ব্যারিস্টার সুমন আলোচনার মাঝে বলেন, ‘আমার নিজের ছেলেটারে প্রতিবন্ধী বানাইয়া রাইখা আমি এখন আর্জেন্টিনার ছেলে এবং ব্রাজিলের ছেলে নিয়া লাফাচ্ছি। লাফানো ঠিক আছে। আমরা ছোটবেলা থেকেই ম্যারাডোনার ভক্ত। কিন্তু নিজের ছেলেটারে এতভাবে প্রতিবন্ধী বানাব।’
অতি সম্প্রতি ঈদুল-আজহা উপলক্ষে একই চ্যানেলে প্রচারিত ‘ঘটনা সত্য’ নামক নাটকেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু তথা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তথা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে হিংসাত্মক, ক্ষতিকর, নেতিবাচক, বৈষম্যমূলক ও বেআইনি বার্তা প্রদান করা হয়েছে। উক্ত নাটকের সরবত্তা হলো, ‘প্রতিবন্ধী শিশু তার পিতা-মাতার পাপের ফসল!’
নোটিশে বলা হয়, প্রতিবন্ধিতা মানব বৈচিত্র্যের অংশ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা কোনোভাবেই বাংলাদেশের অন্যকোনো নাগরিকের চেয়ে কম নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধিতা নিয়ে এই ধরনের নেতিবাচক ধারণা প্রচার করা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ৩৭(৪) নং ধারা মোতাবেক দন্ডনীয় অপরাধ।
‘চ্যানেল আই’ কর্তৃপক্ষ ব্যারিস্টার সুমনের তর্কিত, বেআইনি ও অবমাননাকর বক্তব্য প্রচার করায় এবং ‘ঘটনা সত্য’ নাটকে প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত নেতিবাচক বার্তা প্রচার করায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ৩৭ (৪) ধারায় দন্ডনীয় অপরাধ সংঘটন করেছেন। অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা সেই অপরাধজনক বক্তব্য সংশোধনের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করেননি এবং চ্যানেল আই এর কোনো নীতিমালা দ্বারা এরূপ আইন বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালানোর বিষয়ে কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা না থাকায় কিংবা থাকলেও তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা না থাকায় আইনের ৪০ ধারা মোতাবেক এই চ্যানেল আই টিভি চ্যানেল এবং এই চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনুষ্ঠান নির্মাতা, সঞ্চালক, উপস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই ব্যক্তিগতভাবে প্রাগোক্ত ৩৭(৪) ধারায় অপরাধ সংঘটনের দায়ে দায়ী হবেন।
নোটিশে চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষকে ওয়েবসাইট, ইউটিউব সব অনলাইন থেকে আপক্তিকর ও বেআইনি মন্তব্য/তথ্য সম্বলিত অংশ অপসারণের উদ্যোগ নিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে চ্যানেলটির নীতিমালায় প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ৩৭(৪) ধারা উল্লেখ করে আইনটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের নীতি যুক্ত করাসহ চারদফা নির্দেশনা প্রতিপালনের অনুরোধ জানানো হয়। এ জন্য আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে- মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।