পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে একদিনে এত মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫২১ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯২ জন। এটিও এক দিনে দেশে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। একই দিনে দেশে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিলো গতকাল।
এর আগে দেশে ১৯ জুলাই ২৩১ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকালের আগে সেটাই ছিল একদিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯২ জন। একদিনে এত শনাক্ত এর আগে দেশে হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ১৫ হাজার ১৯২ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫২ জন। তাদের নিয়ে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন।
গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৫ লাখ ছয় হাজার ২৩৩টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৪টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৯টি।
ঈদের ছুটির পর দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে একদিনে সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ হাজার ৯৫২টি। রেকর্ড সংখ্যক নমুনা পরীক্ষায় দেশে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪১ জন এবং নারী ১০৬ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১৩ হাজার ৩৪০ জন এবং নারী মারা গেলেন ছয় হাজার ১৮১ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে আছেন দুই জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন দুই জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিবাগের ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১ জন, খুলনা বিভাগের ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগের ১২ জন, সিলেট বিভাগের ১৪ জন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন পাঁচ জন। অধিদফতর জানিয়েছে, ২৪৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছন ১৬৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৫৫ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ২৬ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।