বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
১৯৭৮ সালে যখন মাত্র ২৬.৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছি সিলেট পৌরসভা। একই আয়তনে ২০০২ সালে সেটি রূপ পায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনে। এতোদিন বাংলাদেশের সবচেয়ে কম আয়তনের সিটি কর্পোরেশন ছিল, সিলেট। বর্তমান আয়তনের দ্বিগুনের চেয়ে বেশি সীমানা বর্ধিত করার অনুমোদন পেয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। আজ সোমবার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে দেয়া হয় এ অনুমোদন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যদিয়ে বাস্তবায়িত হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন এমপির দীর্ঘদিনের জনবান্ধব পরিকল্পনা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সিলেটবাসী।
২০১৫ সাল থেকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা বর্ধিত করার ব্যাপারে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন তিনি। গেল বছরের আগস্ট মাসে সিটি কর্পোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকার তালিকা প্রকাশ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে সিলেট সদর উপজেলার চারটি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশ কিছু মৌজা। তন্মধ্যে রয়েছে সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁও, মইয়ার চর (দাগ নম্বর ৭৭, ৮২, ৮৩, ৮৯, ৯০, ৯১ ছাড়া), খুরুমখলা শাহপুর, আখালিয়া, খাদিমনগর ইউনিয়নের কুমারগাঁও, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খন্ড, টিলাগড়, দেবপুর, কসবা কুইটুক, সুলতানপুর চক, পেশনেওয়াজ, টুলটিকর ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খন্ড, টিলাগড় ও দেবপুর। দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের হবিনন্দি, মণিপুর, আলমপুর, গোটাটিকর, বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর, ধরাধরপুর, বরইকান্দি, গোধরাইল এবং তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর, বরইকান্দি (অবশিষ্টাংশ), বলদী (কয়েকটি দাগ) মৌজাগুলো নতুন করে সিলেট সিটির অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়। নতুন আওতাভুক্ত অধিকাংশ এলাকা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি না থাকায় সিটি এলাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য করা হয় উপস্থাপন। জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেশে আসার পর থেকেই সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন সিটি কর্পোরেশন এলাকা বর্ধিত করতে গ্রহণ করেন উদ্যোগ। সুনামগঞ্জ ও এশিয়ান মহাসড়কের মাঝামাঝি ১৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন বর্ধিত করার দাবি জানান তিনি। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান আয়তনের চেয়ে দ্বিগুন বর্ধিত হলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা। চা বাগান, জলাশয়, হাওর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে রাখতে গিয়ে সেটি এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধি করা যায়নি বলে জানা গেছে। সিটি করপোরেশনের আয়তন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়বে সেবার পরিধিও। সেবার আওতায় আসবেন বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন জনসংখ্যার মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।