Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতি মাসে এক কোটি টিকা দেয়া হবে

ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা আলাদা হাসপাতালে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০৩ এএম

দেশে প্রতি মাসে ১ কোটি লোককে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের ৮ কোটি টিকা রাখার সক্ষমতা আছে। আগামী দিনে প্রতি মাসে ১ কোটি লোককে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনায় কাজ করছি। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কনভেনশন সেন্টারে নির্মাণাধীন ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। করোনার চিকিৎসা আর ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা এক হাসপাতালে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল নির্ধারণ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

জাহিদ মালেক বলেন, যেভাবে করোনা রোগী বাড়ছে হাসপাতালের বেড সঙ্কট দেখা দিতে পারে। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ বেডে রোগীতে ভর্তি। এই ফিল্ড হাসপাতালের কার্যক্রম আগামী ৭ দিনের মধ্যে চালু করতে পারবে।
টিকা ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যাচাই করেছি আগামী দিনগুলোতে কোন দেশ থেকে কত টিকা পাব। সবমিলিয়ে আমাদের হিসাবে ২১ কোটির মতো টিকার ব্যবস্থা করা আছে। এই ২১ কোটি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা, রাখার ব্যবস্থা এবং জনবলের যে ব্যবস্থা সেই পরিকল্পনা আমরা করেছি।

দেশে সবমিলিয়ে ৮ কোটি ডোজ টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, তাপমাত্রা সেনসিটিভ টিকাও প্রায় ৩০ লাখ সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আরো কিছু ফ্রিজের অর্ডার করা হয়েছে। সেগুলো আসলে এই তাপমাত্রা সেনসিটিভ টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও সবমিলিয়ে কোটির কাছে চলে যাবে। আমাদের প্ল্যান হচ্ছে প্রত্যেক মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। প্রায় ১২শ’ রোগী ইতোমধ্যে ভর্তি হয়েছে। আমরা একদিকে নন কোভিড রোগীর চিকিৎসা, অপরদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা, অন্যদিকে টেস্ট ও টিকা সবমিলিয়ে একসঙ্গে করতে হচ্ছে। তাই আমরা বেশ কয়েকটি হাসপাতাল চিহ্নিত করেছি, যেখানে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেব। কারণ, যেখানে করোনা রোগীর চিকিৎসা হয়, সেখানে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, লালকুঠি হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতালসহ আরো কয়েকটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হবে। অন্যান্য হাসপাতালে জায়গা নেই।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এ বি এম খুরশিদ আলম, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ