পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস রোধক টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও আলিয়া মাদরাসা, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। এসব মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা কবে টিকা পাবেন, তা কেউ জানেন না। মাদরাসা ছাত্রদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় কবে থেকে ক্লাস শুরু হবে, তাও জানতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। কারো কারো শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল আলেমরা টিকা গ্রহণ করলেও শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত, তারা এখনো ঠিক করতে পারেননি। আলিয়া ও কওমি মাদরাসার কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক ও একাধিক মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমন্বিত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে বেফাক ও অন্যান্য আঞ্চলিক বোর্ডগুলোসহ কওমি মাদরাসার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সরকারি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘আল-হাইআতুল উলয়া লি-জামিআতিল কওমিয়্যাহ’ও এ বিষয়ে কোনও আলোচনা শুরু করেনি।
ঢাকার একটি মাদরাসার মেশকাত জামাতের (স্নাতক চূড়ান্ত) একজন শিক্ষার্থী গতকাল রোববার জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে কোনো কিছুই জানানো হয়নি। আর মাদরাসাও কবে নাগাদ খোলা হবে, তা অনিশ্চিত।
সরকারিভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ পর্যায়ে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রক্রিয়া শুরু করেছে। টিকা কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও। এরইমধ্যে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শেষ হলেই প্রতিষ্ঠান খুলবে, সরকারের পক্ষ থেকে এমন সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) একাধিক দায়িত্বশীল আলেম জানান, মাদরাসার ছাত্রদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে কোনও রোডম্যাপ হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষার্থীদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করে টিকা দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া হলেও প্রাতিষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা নেই।
ঢাকার একটি মাদরাসার শিক্ষক বলেন, টিকা নেওয়ার বিষয়ে শুরুতে বিভ্রান্তি থাকলেও এখন টিকা নেওয়ার পক্ষে সবাই। সুস্থ থাকতে টিকার বিকল্প নেই, এ কথাটিও ছাত্রদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে। যদিও মাদরাসা বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকার ব্যাপারে অন্ধকারে আছে।
সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বেফাক ও আল-হাইআতুল উলয়া লি-জামিআতিল কওমিয়্যাহ’র সদস্য মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকরা কীভাবে টিকা পাবেন, এ নিয়ে বোর্ডগুলো এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। হাইআতুল উলয়ার দায়িত্বশীলরা এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদরাসার অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা ও শিক্ষক এবং সিনিয়র আলেমদের মধ্যে অনেকেই টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তারা নিজ উদ্যোগে টিকা নিচ্ছেন। তবে কওমি মাদরাসা ক্লাস শুরুর ব্যাপারে তাদের আগ্রহ থাকলেও শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনায় আগ্রহ নেই। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা মাদরাসা খোলা বা ক্লাস শুরু হওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানতে পারছেন না, টিকার ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।