পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719609816](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ। তবুও রাজধানী ঢাকার পথে প্রান্তরে বেড়েছে মানুষের চলাচল। ব্যক্তিগত গাড়িতে ছেড়ে গেছে মহানগরের সড়কগুলো। বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে এবং ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে তল্লাশি চৌকিতে গাড়ির জট। নানান অজুহাতে মানুষ পথে চলাফেরা করছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকে দূরদূরান্ত থেকে রিকশা-ভ্যানে করেই ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। এবারের লকডাউন আগের চেয়ে কঠোর হওয়ার কথা থাকলেও লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা গেছে কার্যত ঢিলেঢালা ভাব।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) তৃতীয় দিনেও ঢাকা টু আরিচা মহাসড়ক, মাওয়া টু ঢাকা হাইওয়ে হয়ে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে ছোট যানবাহনে আসা যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবু আটকে রাখা যাচ্ছে না তাদের। পায়ে হেঁটে তল্লাশি চৌকি এড়িয়ে কিছু দূর গিয়ে আবার রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকে করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন কর্মস্থলগামী মানুষ। একই দৃশ্য উত্তরার আবদুল্লাহপুর, গাবতলী, যাত্রবাড়ী এলাকায়। সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকে করে পথ ভেঙে ভেঙে দিকে আসছেন ঢাকায় কর্মস্থলগামী মানুষ।
রাজধানী ঢাকার ভেতরেও একই চিত্র। মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চৌকি থাকলেও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নরম কোথাও গরম ভূমিকা পালন করছেন। অনেক স্পটে যানজটের সৃষ্টি হতেও দেখা গেছে। সকল ৯টায় যাত্রাবাড়ী মোড়ের পূর্বপার্শ্বে গাড়ি থামিয়ে মোড় পার করতে হয়েছে। ধোলাইপাড়েও দেখা গেছে অভিন্ন দৃশ্য। সকাল ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে থেকে যানবাহনের জটলা শুরু হয়ে ঠেকে শ্যামলী মানসিক হাসপাতালের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত। হাসপাতালের সামনের রাস্তায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে জিজ্ঞাসাবাদ চলায় এমন পরিস্থিতি। এই চৌকিতে দায়িত্বরত মো. তিতুমীর নামের ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, ‘যতটা সম্ভব তল্লাশি করছি। অধিকাংশই ব্যাংক ও হাসপাতালগামী যাত্রী। গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় সবার কাগজপত্র দেখা সম্ভব হচ্ছে না।’
ঈদের পর শুরু হওয়া ‘কঠোরতম লকডাউনের’ তৃতীয় দিন গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পুরো মহানগরীতে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে রিকশার পাশাপাশি অধিকাংশই প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও পণ্যবাহী পিকআপ। গণপরিবহন না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে দ্বিগুণ ভাড়ায় রিকশায় করে গন্তব্যে ছুটছেন অনেকে। বিভিন্ন মোড়ে ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও চালকের মধ্যে বিতণ্ডার দৃশ্য দেখা গেছে। মানুষের অভিযোগ সরকার ব্যাংক ও শেয়ারবাজার খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল সকালে কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য কিছু কিছু এলাকায় তল্লাশি কাজে ছেদ পড়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি করেন। বৃষ্টির সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড ছেড়ে দিয়ে রাস্তার পাশে গাছের নিচে আশ্রয় নেন। এমনই পরিস্থিতি দেখা গেছে বেশ কয়েকটি স্পটে। পল্টনের একটি ওষুধের দোকানে বিক্রয়কর্মী মো. সেলিম রহমান বলেন, এখন মনে হচ্ছে না ঢাকায় লকডাউন আছে। অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা, দোকানপাট-শপিংমল কিংবা গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাস্তায় গাড়ি বেড়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে প্রাইভেটকারের সংখ্যা গণনা করে দেখেন বেশি হবে। দুইদিন তো ভালোই মনে হয়েছিল, মানুষজন একটু সতর্ক হচ্ছে। এখন তো দেখি না। প্রাইভেটকার বের হতে দিলে গরিবরা কি দোষ করল? নাকি গরিবদের কষ্ট দিতেই লকডাউন?
প্রতিটি সড়কে দেখা গেল মানুষ রাস্তায় কেউ হেটে যাচ্ছেন কেউ রিকশায়। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা প্রচুর। কোথাও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, কোথাও পুলিশ নীরবে দাঁড়িয়ে দৃশ্য দেখছেন। একই চিত্র দেখা গেছে মালিবাগ, মৌচাক, কাকরাইল, শান্তিনগর, বিজয় নগর, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর, স্বামীবাগ এলাকার সড়কে।
ঈদের ছুটির পর টিসিবির ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে ডাল, চিনি ও তেল বিক্রি আবার শুরু হয়েছে। শান্তিনগরের কাছে ট্রাকে মানুষজনকে লাইন ধরে কিনতে দেখা গেছে পণ্য। তবে সেখানেও গাদাগাদি। ক্রেতাদের নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়াতে ট্রাকে বসা এক বিক্রেতা বার বার সতর্ক করছিলেন। গোপীবাগেও দেখা গেল লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনছেন। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো মূল সড়কের বাইরে অলিগলিতেও মানুষজনের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। গলির ভেতরে অধিকাংশ দোকানপাটই খোলা। চায়ের দোকানে মানুষ আড্ডা দিচ্ছেন। অনেকেই পসরা সাজিয়েছেন। শনির আখড়া থেকে যাত্রী নিয়ে হাটখোলায় আসা রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত দুইদিন মানুষজন রাস্তায় কম দেখা গেছে। আইজকা একটু বেশি। মানুষজন রাস্তায় বেশি দেখা গেলে আমগো জন্য আশীর্বাদ। কাস্টমার পামু পেটের জ্বালা মিটব। বড়লোকেরা প্রাইভেট কার নিয়ে রাস্তায় নামলে পুলিশ কিছু বলে না। আমাদের বেলায় কেন এতো কড়াকড়ি?’
পুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজে দেখা যায়, এ ব্রিজের মুখে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। তবে সেখানে খুব শক্ত অবস্থান দেখা যায়নি। ঢিলেঢালা চেকপোস্ট পেরিয়েই মানুষ ঢুকছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সকাল থেকেই কঠোর বিধিনিষেধের দায়িত্ব পালন করে আসছি। যাদের সন্দেহ হচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেশিরভাগই জরুরি বা গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা বলছেন। তাই আমরা তাদের চেকপোস্টগুলো অতিক্রম করতে দিচ্ছি।
মাদারীপুর থেকে আসা, মো. আনিসুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। শনিবার পর্যন্ত ঈদের ছুটি থাকায় গ্রামে ছিলাম। রোববার থেকে অফিস খোলা তাই সকালে বাড়ি থেকে ঢাকায় এসেছি। বাস বা যানবাহন না পাওয়ায় ভেঙে ভেঙে ঢাকায় আসতে হয়েছে। চেকপোস্টে কোনো ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। তেমন কোনো জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়নি।
মো. আনিসুজ্জামানের মতোই মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থেকে ঢাকায় এসেছেন মো. আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি শেষ করে কাজে যাচ্ছি। মুন্সিগঞ্জ থেকে ভেঙে ভেঙে বাবুবাজার পর্যন্ত এলাম। তবে কোথাও কোনো চেকপোস্টে কিছুই জিজ্ঞেস করা হয়নি। কিছু কিছু চেকপোস্টে ২/১ জন পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। কই তারা তো কোনো কিছু জিজ্ঞেস করে না। ধোলাইপাড়ে কথা হয় শয়িতপুর থেকে আসা আবদুল ওয়াহাবের সঙ্গে। তিনি বলেন, পথে কোথাও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। তবে তিন গুন টাকা খরচ করে ভেঙে ভেঙে কষ্ট করে আসতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে গতকাল তৃতীয় দিনে কিছুটা ঢিলেঢালা ছিলো লকডাউন। রাস্তায় যানবাহনের সাথে লোক সমাগমও বাড়ে। রিকশার পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা ছিলো বেশি। কোন কোন এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে গণপরিবহনও চলাচল করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টম হাউসসহ আমদানি-রফতানি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে। গতকাল ব্যাংকও খোলা ছিলো। এসব কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল বাড়ছে। হাটবাজারেও মানুষের ভিড় জটলা আছে। অলিগলি পাড়া মহল্লায় আছে আড্ডাবাজি। লকডাউন সফল করতে গতকালও নগরীতে তৎপর ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যথারীতি মাঠে ছিলেন। বিধি-নিষেধ ভঙ্গ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে করা হয় জরিমানা। শনিবার রাত পর্যন্ত নগরীতে ১৮৪ মামলায় ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, লকডাউনের তৃতীয় দিনে নোয়াখালীর বিভিন্ন সড়কে হঠাৎ করে লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রথম দুই দিন রাস্তায় লোক সমাগম না থাকলেও গতকালের চিত্র পাল্টে গেছে। জেলা শহরের বেশ কিছু ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করছে।
জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে দোকানপাট খোলা হয়েছে। মাইজদী পৌর বাজার, দত্তেরহাট বাজার, সোনাপুর বাজার ও মাইজদী বাজারে শত শত লোক কেনাকাটা করছে। এরমধ্যে মুদি দোকান ও কাঁচাবাজারে লোক সমাগম বেশী।
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাগুরা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীর সদস্যরা, বি জি বি, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট শহরের বিভিন্ন সড়ক ও জেলার ৪ উপজেলার হাট বাজারে টহল জোরদার করেছে।
বিনা কারনে কাউকে রাস্তায় বের হতে দেয়া হচ্ছে না এবং শহরের ও জেলার সকল হাটবাজারের দোকান পাট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে গ্রামাঞ্চলে ও শহরের কোন গলিতে কিছু দোকানপাট খোলা দেখা যাচ্ছে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের নেতৃত্ব জেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ১৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। শহরের কোন দোকানপাট খোলেনি ও কোন যানবাহন চলাচল করছে না। তবে পণ্যবাহী যানবাহন চলেছে সড়কে।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, পাবনা শহরে পুলিশ অবস্থান নিলে মানুষের ভিড় জটলা কমে শহর প্রায় জনশূন্য হয়। এসময় পুলিশ সদস্যরা অসচেতন মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউনের বিধিনিষেধগুলো মানতে বলেন এবং শহরে অযথা ভিড় না করার আহবান জানান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গার সড়কগুলোতে ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি। সকাল থেকে জেলার প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তদারকি করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ হোসেন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৯টি মামলায় ৮৪ জনকে ৭৩ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা এবং একজনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছে ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৩ প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত ৮টি মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে ৮৭ টি মামলায় ৯৮ জনকে ৮২৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভোলা সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আবদুল্লাহ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান ৩টি মোবাইল কোর্টেরর মাধ্যমে ৩১ টি মামলায় ৩৭ জনকে ২১,৯০০ টাকা। দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারেক হাওলাদার ১ টি মোবাইল কোর্টে ২ টি মামলায় ২ জনকে ১৫,০০০ টাকা।
বোরহানউদ্দিনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান ১টি মোবাইল কোর্টে ২১ মামলায় ২২ জনকে ১২,৭০০ টাকা, লালমোহনে সহকারী কমিশনার (ভূমি)মোঃ জাহিদুল ইসলাম ১টি মোবাইল কোর্টে ১০ মামলায় ১০ জনকে ৬,৪০০ টাকা। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মরিয়ম বেগম ১ টি মোবাইল কোর্টে ১১ মামলায় ১২ জনকে ৭,১০০ টাকা। চরফ্যাশনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপন বিশ্বাষ ১ টা মোবাইল কোর্টে ১২ মামলায় ১৫ জনকে ১৯,৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউনের ১০ম দিনে ও শহরের বেশির ভাগ দোকানপাটের এক শাটার খুলছে চলছে বেচাকেনা।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিধিনিষেধ না মানায় ৬ মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১ জনের ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শহরে দোকানের অর্ধেক শার্টার তুলে ব্যবসা করায় সনু, সমশের, মাহতাব আলী ও তারিকসহ ৫ হাজার টাকা করে ৬ ব্যবসায়ীর ৬ মামলায় জরিমানা করা হয় ২০ হাজার টাকা।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ৫৪টি চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করতে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সড়কে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনসহ রিকশা ও ভ্যান চলাচল করছে। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে সাধারণ মানুষ পুলিশী চেকপোস্টে জেরার মুখে বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।