Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পানগুছি নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি, মোরেলগঞ্জ পৌর শহর ও ২০ গ্রাম হুমকিতে

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ৮:০০ পিএম

সাগরের সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানগুছি নদীর ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে ২০ টি গ্রাম। যে কোনো সময় তলিয়ে যেতে পারে শত শত একর ফসলি জমি, বসবাড়ি কাচা-পাঁকা রাস্তা ও বেড়িবাঁধ।

গত দু’দিনে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি হয়েছে ৩/৪ ফুট। আজ রোববার সকাল থেকে দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি মোরেলগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র কাপুড়িয়া পট্টি, লঞ্চঘাট, পাদুকা পট্টি, ফল পট্টি, কেজি স্কুল রোড, বারইখালী ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকা ও উপজেলা চত্ত্বরসহ ১৬ টি ইউনিয়নসহ পৌর শহর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দিনে দু’বার পানিতে ভাসতে হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার পরিবারকে।

নদীর তীরবর্তী বারইখালীর উত্তর সুতালড়ী, পঞ্চকরনের দেবরাজ কুমারিয়া জোলা, বহরবুনিয়ার পশ্চিম বহরবুনিয়া, উত্তর ফুলহাতা, হোগলাবুনিয়ার পাঠামারা, সানকিভাঙ্গা, বদনিভাঙ্গা, মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা, কাঠালতার একটি অংশ, খাউলিয়ার পশুরবুনিয়া, সন্ন্যাসী, কুমারখালী আমতলী, ফাসিয়াতলা, মধ্যে বরিশালসহ পৌর শহরের কুঠিবাড়ি ফেরীঘাট এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার পরিবারের বসতবাড়ি ও ফসলী জমি অন্যদিকে বেড়িবাঁধ ও কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট হুমকির মুখে রয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান লাল, মাহমুদ আলী,আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, মো. আকরামুজ্জামান, মো. আলমগীর হোসেন, রিপন তালুকদার বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ঘষিয়াখালী থেকে মোরেলগঞ্জ শহর হয়ে সন্ন্যাসী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ। একমাত্র বাঁধ তৈরি হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।

এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি অল্প কিছুদিন হয়েছে এ উপজেলায় যোগদান করায় সকল বিষয় অবহিত না। তবে দীর্ঘদিনের নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন বলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ