Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা : ফেরির মাস্টার ও সুকানিকে দায়ী করে প্রতিবেদন

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ৬:৪৩ পিএম

পদ্মা সেতুর পিলারে রো-রো ফেরি শাহজালালের ধাক্কা লাগার ঘটনায় ফেরির দুই চালকের (মাস্টার ও সুকানি) অসতর্কতায় পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি শাহ জালাল। তিন পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসির চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম তদন্তের প্রতিবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আজ রোববার দুপুরে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য ফেরির দুই চালককে দায়ী করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ২৯টি যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে রো-রো ফেরি শাহ জালাল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে আঘাত করে। এ সময় ফেরিতে থাকা যাত্রীরা ছিটকে একে অপরের ওপর পড়ে আহত হন। কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী এ সময় মারাত্মক আহত হন।
ওই দিনই বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। শুক্রবার কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ফেরিতে কর্মরত ছয়জনের বক্তব্য নেন। শনিবার খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করেন। রবিবার বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তেল খরচ কমাতে সংক্ষিপ্ত পথে চলতে গিয়ে পদ্মা সেতুতে আঘাত করে রো-রো ফেরি শাহজালাল। স্রোতের অনুকূলে কম গতিতে চালাতে (২৫০ আরপিএম) গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় ফেরিটি। অথচ স্রোতের বিপরীতে কিছুটা উপরের দিকে চালিয়ে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ফাঁক দিয়ে নদী পাড়ি দিলে এ দুর্ঘটনা এড়াতে পারতেন ফেরির দুই চালক (মাস্টার ও সুকানি)। সেক্ষেত্রে পথটি দীর্ঘ হতো এবং গতিও বাড়াতে হতো। এতে তেল খরচ হতো বেশি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তেল বাঁচিয়ে তা বাইরে বিক্রি করে দেয়া।
ফেরির আঘাতে সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের ক্যাপে কিছুটা স্ক্যাচ পড়েছে। আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবি ফেরিটির বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ডকইয়ার্ডে নিয়ে মেরামতের আগে এটি চলাচল করতে পারবে না।
এদিকে, এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে কৌশল নেন ফেরির দুই চালক ও অন্যান্য স্টাফরা। সেতুতে আঘাত দেয়ার আগে স্টিয়ারিং কাজ করছিল না বলে তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে দাবি করেন তারা। যদিও তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে স্টিয়ারিং ভালো পাওয়া গেছে। তবে তারা ধীরগতিতে চালানোর কথা স্বীকার করেছে।
শাহজালাল ফেরির চালক (মাস্টার) আব্দুর রহমান খানকে শনিবার পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এদিন মাদারীপুর সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে তার ডোপ টেস্ট ও শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি মাদকাসক্ত নয় বলে সূত্র জানিয়েছে।



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৫ জুলাই, ২০২১, ৮:১৬ পিএম says : 0
    ফালতু একটি কথা কেউ জেন শুনে বিপদে যাবে না কি,অযথা হয়রানি না করতে নির্দেশ দেওয়া হইল। যাত্রী ফেরি।
    Total Reply(0) Reply
  • iqbal ২৫ জুলাই, ২০২১, ৮:২৪ পিএম says : 0
    I think this is a sabotage, done by india.Because so many indian were caught by our security personnel near the surrounding area of padma bridge.So......
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ