Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শিমুলিয়া নৌরুট কঠোর বিধিনিষেধেও ফেরিতে যাত্রী পারাপার, পায়ে হেঁটেই রাজধানী ঢাকামুখী মানুষ

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ৫:৩২ পিএম

শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে থেমে নেই যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপার। কঠোর বিধি-নিষেধের তৃতীয় দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিগুলোতে ঢাকামুখী যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রীরা ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছে। আজ রোববার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীরা মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে শিমুলিয়া আসতে দেখা গেছে। লকডাউনের প্রথম দিন থেকে এ নৌপথে সকল লঞ্চ বন্ধ থাকায় ও অল্প সংখ্যক ফেরি চলাচল করায় ফেরিতে যাত্রীর গাদাগাদি লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লকডাউন বাস্তবায়নে শিমুলিয়া মোড় চন্দ্রের বাজার থেকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে শ্রীনগর পর্যন্ত সড়কে ৮ কিলোমিটার বিভিন্ন পয়েন্টে কঠোর অবস্থানে টইল রয়েছেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। যাত্রীরা চেকপোস্ট এড়াতে বিকল্প রাস্তায় গ্রামের ভিতর দিয়ে পায়ে হেটে ছোট ছোট ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা,মোটর সাইকেলে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অনেকে পায়ে হেটেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। তবে সড়ক গুলোতে অল্প সংখ্যক ছোট ছোট যানবাহন দেখা গেছে।

শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডগুলো শূণ্য। কোন ধরনের যানবাহন নেই। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, আনসার ও বিআইডাবিøউটিসি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরি সেবার আওতায় পণ্যবাহী পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স ঘাটে আসলেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফেরিতে। বিভিন্ন চেকপোস্টের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় ব্যতিগত গাড়ি আসলেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হলেও পায়ে হেঁটে ঘাটে ভিড় করছে যাত্রী। এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে প্রতিটি ফেরিতেই গাদাগাদি করে যাত্রী আসছেন। মিরপুরগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম জানান, চাকুরী বাঁচাতে হবে তাই যেই ভাবেই হউক ঢাকা যেতে হবে, যাত্রী আকবর আলী জানান, বরিশাল থেকে আসছি। ভেঙে আসতে হয়েছে। এখন ঢাকায়ও ভেঙে ছোট গাড়িতে যেতে হবে। সাইজউদ্দিন জানান, সরাসরি বাসে ৮শ টাকা দিয়ে যেতাম। এখন ১২শত টাকা ওই পাড়েই শেষ হয়েছে। এখন এ ঘাট থেকে ঢাকায় যেতে কত লাগে জানি না। ৪/৫ গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে যেতে হচ্ছে। চাকুরী বাঁচাতে ঢাকায় যাচ্ছি। মাদারীপুরগামী যাত্রী আলাউদ্দিন জানান, ঢাকায় কাম নাই খামু কি? ঈদের আগে কিছু টাকা ছিলো বসে খেয়ে শেষ হয়ে গেছে তাই গ্রামে চলে যাচ্ছি।

বিআইডবিøউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৬টি ফেরি চলাচল করছে। দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীর চাপ কম তবে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ অনেক।

বিআইডবিøউটিএ’র শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের কর্মকর্তা জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। লঞ্চ মালিকেরা তাদের লঞ্চের সংস্থারের কাজ করছে। সবগুলো লঞ্চ ঘাটে বেধে রাখা হয়েছে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের (টিআই) মো. জিয়া জানান,ঘাটে পারাপারে অপেক্ষায় কোন গাড়ি নেই। যারা আসছে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে।

লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক, লৌহজং উপজেলার মালিরঅংক মোড়,মাওয়া সড়কে খানবাড়ী মোড়, ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশ পথের মূল পয়েন্টে শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্টে বহাল রেখেছি। জরুরি সেবার আওতায় সে সকল গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। তাছাড়া সকল গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

 



 

Show all comments
  • mojib Haque ২৬ জুলাই, ২০২১, ১০:২৫ পিএম says : 0
    Super hit oil
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ