Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মফস্বলে সংক্রমণ বেশি

গ্রামের হাটবাজারে ‘করোনা’ প্রচারণা নেই মানুষের যাতায়াতে তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে : অধ্যাপক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রশাসনের মনিটরিং না থাকায় নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বাড়ছে : ডা. বে-নজ

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

ডিজিটাল বাংলাদেশে। প্রশাসনের সব কাজ হয়ে থাকে ডিজিটালে। বিজ্ঞানের বদৌলতে পৃথিবীর এক প্রান্তের খবর কয়েক সেকেণ্ডে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। অথচ বৈশ্বিক মহামারি করোনার ভয়াবহতার খবর বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে পৌঁছে না! করোনার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে তারা যেন এখনো রয়েছেন অন্ধকারে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মানুষকে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে প্রশাসনিক কঠোরতাও নেই। মফস্বল শহর ও গ্রামগঞ্জের হাটবাজারে করোনার ভয়াবহতা নিয়ে জনসচেতনতায় নেই কোনো প্রচারণা। ফলে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা সীমান্ত জেলা ও রাজধানী পেরিয়ে সারাদেশের গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে। গ্রামের ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান বলছে, নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ এখন রাজধানী ঢাকার চেয়ে মফস্বল শহর ও গ্রামগঞ্জে বেশি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, ‘গ্রামের মানুষ করোনাকে সর্দি-জ্বর মনে করছে’। সত্যিই তাই। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত যাদের অবস্থা ভয়াবহ হচ্ছে তাদের অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হচ্ছে। কিন্তু ঢাকার হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই। বিপর্যয়ে পড়ছেন রোগীরা। কেউ মারা যাচ্ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে; কেউ মারা যাচ্ছেন করোনায়।

‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে গেছে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। ঢাকা থেকে গ্রামে গিয়ে তাদের কেউ কেউ কি করোনা ছড়িয়ে দিলেন! ঈদের ঘরে ফেরা কর্মজীবীদের রাজধানীতে বেখেয়ালি প্রত্যাবর্তন নিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট ছোট বিকল্প যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গাদাগাদি করে ঢাকায় ফিরেছে লাখ লাখ মানুষ। অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানেনি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় উল্টো স্বাস্থ্যবিধিকে দলিতমথিত করে ফিরছেন। এদের মধ্যে কে গ্রামে গিয়ে করোনাভাইরাস ছড়ালেন, আর কে করোনা নিয়ে ঢাকায় ফিরে এলেন তা বলা দূরূহ। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন। কারণ গ্রামে নমুনা পরীক্ষা নেই; রাজধানীতেও নমুনা পরীক্ষা সৎসামান্যই। সারা দেশে প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে তাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসী কার্যত অন্ধকারে। ১৮ কোটি মানুষের দেশে গতকালও অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে মাত্র ২০৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ঈদে যেভাবে মানুষ বাড়ি গেছে, আবার ঈদের পর ঢাকায় ফিরে আসছে, তাতে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আমরা নিজেদের সর্বনাশ নিজেরা ডেকে আনলে, করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল। লকডাউনের মধ্যে রাস্তাঘাটে জনসমাগম ও মানুষের চলাচল যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমরা শঙ্কিত। রোগতত্ত্ববিদ ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, এবারের লাখ লাখ মানুষের ঈদযাত্রা অতপর কর্মস্থল ঢাকায় ফিরে আসা করোনা নিয়ন্ত্রণকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে। প্রশাসনের কোনো মনিটর না থাকায় জনগণের মধ্যে নিয়ম ভাঙার প্রবণতা কাজ করছে। গ্রামগঞ্জে তো কোনো প্রচারণায় নেই।

দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, ঢাকার কর্মস্থল থেকে গ্রামে ছুটে যাওয়া উপসর্গহীন করোনা রোগীর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ভয়াবহভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। গ্রামে থাকা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে লাখ লাখ মানুষ বাড়িতে ছুটে গেলেও তাদের এ আগমন সহসাই বিষাদে রূপ নিতে পারে। যা হয়তো ঈদ পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যেই টের পাওয়া যাবে। রাজধানী ঢাকা মহানগর থেকে গ্রামে ফেরা একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি কতজনের মধ্যে ছড়াবেন তা অনুমানই করা যাবে না। আবার যারা সুস্থ অবস্থায় শহর থেকে যাবেন, তারাও আসার সময় গ্রাম থেকে ভাইরাসটি বহন করে নিয়ে আসতে পারেন। ঈদকে সামনে রেখে যারা গ্রামে গেছেন, তাদের অনেকের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা কিংবা দাদা-দাদি রয়েছেন। শহর থেকে গ্রামে ফেরা যুবক ও তরুণ আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়বে। এছাড়া গ্রামে করোনা নমুনা পরীক্ষা ও গুরুতর অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় তাদের জেলা শহরে ছুটতে হবে। অথচ সেখানেও চিকিৎসার তেমন সুযোগ নেই। ফলে গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত রোগীদের ভয়াবহ বিপাকে পড়তে হবে।

জানতে চাইলে আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রোগতত্ত্ববিদ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এখনো সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও নিয়ন্ত্রিত নয়। এ অবস্থায় মার্কেট-শপিংমল খুলে দেওয়া এবং জেলা অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন চালু করা ঠিক হয়নি। এর উপর মানুষ গাদাগাদি করে সিটি সার্ভিসের বাসে দূরের পথে যাতায়াত করলেও তা মনিটর এবং নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ ছিল না। অধিকাংশ যাত্রীই মুখে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছে। ফলে যাত্রাপথ থেকেই রোগের সংক্রমণ হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে যদি আবার গ্রাম থেকে শহরে এবং শহর থেকে গ্রামে রোগটি ছড়ায়, তাহলে সেটি মোকাবিলা করা আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে।

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা এখন শুধু সীমান্ত জেলাগুলো আর রাজধানী ঢাকায় নয়, সারাদেশের জেলা, উপজেলা পর্যায়ের মফস্বল শহর গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রতিদিন যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে তাকে শনাক্ত প্রতিদিন বাড়ছে। সারা দেশে করোনায় মৃত্যু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে। সেই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর-সর্দির প্রকোপ। করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ার পরও সরকারি পর্যায়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা না থাকায় এই জ্বরজারি নিয়ে চিন্তিত নন গ্রামের মানুষ। নাপা-প্যারাসিটামলসহ জ্বর-সর্দির সাধারণ ওষুধে ঘরেই চলছে চিকিৎসা। রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হলে ছুটছেন হাসপাতালে। পরিস্থিতি খারাপ হলে ছুটছেন ঢাকায়। আবার গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই চেপে যাচ্ছেন করোনার এসব উপসর্গ। করোনা নিয়ে মনে ভীতি থাকলেও উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহ নেই। আর সরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেই। এ অবস্থায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জ্বর-সর্দি, কাশির ওষুধের চাহিদা বেড়েছে; পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে, ফার্মেসিগুলোতে সঙ্কট দেখা দিয়েছে জ্বর-সর্দি, কাশির ওষুধের।

দেশের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘরে ঘরে জ্বরব্যাধির রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় প্রতিটি বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত রোগী রয়েছে। এমনো বাড়ি রয়েছে যে, গত এক মাসে ৪ সদস্যের পরিবারের সবাই জ্বরে আক্রান্ত। জ্বরে আক্রান্ত এসব রোগীর করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। ফলে তাদের করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ তা জানা যায়নি। এ অবস্থায় ওই সব পরিবারের যে সদস্যরা রাজধানীতে কাজ করেন; তারা ঈদে বাড়ি গেছেন। দু’চারদিন পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে গ্রামের হাটবাজারে আড্ডা দিয়ে আবার কর্মস্থল ঢাকায় ফিরে এসেছেন। এদের মধ্যে কারা করোনার উপসর্গ বহন করে ঢাকায় ফিরেছেন কি না বোঝা মুশকিল।

কঠোর লকডাউনেও গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে গত দু’দিন দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন। এর আগে কেউ ফেরি পার হয়ে কেউ মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোসহ নানান যানবাহনে ঢাকার প্রবেশপথে এসেছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গাড়িগুলো ব্যারিকেট দিয়ে আটক করায় তারা হেঁটে আসেন। ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরতে এবং অতঃপর কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে পথে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় মানুষকে। কিন্তু তাদের এই দুর্ভোগে আফসোস করছেন না কেউ। কারণ মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অন্যের জীবন মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলতে তারা লকডাউন উপেক্ষা করে গ্রামে গেছেন এবং ফিরে এসেছেন। টিভি পর্দায় দেখানো হয় প্রতিদিন করোনা উপসর্গ নিয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকায় উপসর্গ নিয়ে মৃত্যের খবর নেই। গতকালও যে মৃত্যুর খবর দেয়া হয়েছে, তাতে দেখা যায় করোনায় ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর মধ্যে রাজধানীর ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে বেশি। এরপর খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ জন মারা গেছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, সিলেটে একজন মারা গেছেন। এটা স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব। অথচ শুধু বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে সর্বোচ্চ ২৪ জন মারা গেছেন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৪ জন।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় দুইটি পিসিআর ল্যাবে ৩৪৫ নমুনায় নতুন করে আরও ১৪৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৮৫২ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। জেলার প্রতিটি গ্রামে করোনা রোগী।

কয়েকদিন আগে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি দেখা গেছে। শনাক্ত ও মৃত্যুর ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে এই দুই বিভাগে। এখন সর্বোত্রই একই চিত্র। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে ৭টি বিভাগের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির নমুনা থেকে জিনোম সিকোয়েন্সে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৭টি বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৫০টি নমুনায় ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট বি ১৬১৭ পাওয়া গেছে। ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণে জর্জরিত এখন পুরো বাংলাদেশ।

জানতে চাইলে প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এটা প্রমাণ করে, আমরা করোনা মহামারি মোকাবিলার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে গিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত আমাদের আবারও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সব কিছু খুলে দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধির যেসব নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো ঠিকমতো মনিটরিং না করার অর্থ দাঁড়ায় করোনা নিয়ে বেশি কিছু ভাবার নেই। এ কারণে মাস্ক না পরেই গাদাগাদি করে মানুষ গণপরিবহন, ফেরি ও অন্যান্য যানবাহনে চড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে মানুষ মার্কেটে ঘুরেছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেলটা গ্রামে ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই গ্রামাঞ্চলে এ মরণব্যাধি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কোনো সময় তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সঙ্কট দেখা দেবে। এ ব্যাপারে সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা তৈরির পাশাপাশি জনগণকে আরো অনেক বেশি সচেতন হওয়া জরুরি।



 

Show all comments
  • Omar Forkan ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫২ এএম says : 0
    এভাবে কয় ঢেউ পর্যন্ত আসবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Roman Ramjan ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৪ এএম says : 0
    আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আমরা আমাদের অভ‍্যাস কখনও বদলাবো না, আইন মানবো না আইনকে শ্রদ্ধা করবো না, সব দোষ সরকারের বলে সমালোচনা করবো, পুলিশের সমালোচনা করবো, কারণ আমরা সাধু ও পীর,ফেরেস্তা
    Total Reply(0) Reply
  • Khairul Alam Ashrafi ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৪ এএম says : 0
    আমাদের দেশে হাজারও নয় লক্ষ লক্ষ লোক করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবারও সুস্থ হয়ে গেছে এগুলোর কোন হিসাব কিতাব নেই!
    Total Reply(0) Reply
  • Shadhin Babu ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশ চাইলে ভারতের চেয়েও ভালো ভ্যাক্সিন বানাতে পারে,,
    Total Reply(0) Reply
  • Burhan Uddin Payel ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৫ এএম says : 0
    চলছে লকডাউন। মৃত্যুর মিছিলও চলছে। তবে শহরের অলিতে গলিতে কিংবা গ্রামে গঞ্জে এখনো অনেক মানুষ করোনাকে পরোয়া করছে না। রাস্তাঘাটে এখনো এমন মানুষ পাওয়া যায়, যারা মাস্ক ছাড়া ঘুরাফেরা করছে। তারা নিজেকে করোনার চেয়ে শক্তিশালী মনে করে।
    Total Reply(0) Reply
  • খেয়ার নবীন মাঝি ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৫ এএম says : 0
    লকডাউন লকডাউন নামের লুকোচুরি খেলার অপরিহার্য ফল! কখন লকডাউন দিতে হবে আর কখন লকডাউন তুলে দিতে হবে এটা না জানার খেসারত আরো দিতে হতে পারে!!
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Naim ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৫ এএম says : 0
    বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরেই এখন করোনা ভাইরাস
    Total Reply(0) Reply
  • Rahin Shihab ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৫ এএম says : 0
    সারা দেশে ঘরে ঘরে জ্বর, কাশি, মাথা শরীর ব্যথা।
    Total Reply(0) Reply
  • এম মাহফুজ আহমেদ ২৫ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৬ এএম says : 0
    There is a game called lockdown going on in Bangladesh, I don't understand what kind of lockdown it is.
    Total Reply(0) Reply
  • প্রবাসী-একজন ২৫ জুলাই, ২০২১, ৯:০০ এএম says : 0
    যতদিন পর্যন্ত মহান আল্লাহ চাইবেন, ততদিন পর্যন্ত এরকম ঢেউয়ের পর ঢেউ আসতেই থাকবে। অন্যদের কথা না হয় বাদই দিলাম, এই মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কয়জন মুসলিম নিজেকে ইসলামের ওপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেন? গোঁজামিলে আর কতদূর দৌড়ানো যাবে? আসুন, আমরা ইসলামের বিধি-বিধানগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে সচেষ্ট হই; আমাদের ভুল-ভ্রান্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত ক্ষমা চাই আর তাঁর বিশেষ অনুগ্রহ কামনা করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ