পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আরও ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এতে দেশে করোনা মহামারিকালে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়ালো। এ নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে মোট ১৯ হাজার ৪৬ জনের মৃত্যু হলো। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১৯ জুলাই মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়ায়। এর মাত্র পাঁচদিনের মাথায় পরবর্তী এক হাজার মৃত্যু দেখলো বাংলাদেশ; যেসময় দেশে ঈদুল আযহার ছুটি চলছিল। টানা কয়েকদিন সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতির পর গত ২১ জুলাই ঈদের পর থেকে নমুনা পরীক্ষা কিছুটা কমায় শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যাও কিছুটা কমে। গত শুক্রবারও ১৬৬ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। গতকল তা বেড়ে ১৯৫ এ দাঁড়িয়েছে।
মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শনাক্তও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ হাজার ৭৮০ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনারোগী শনাক্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল সাড়ে ১১ লাখ। সরকারি হিসেবে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগী হলেন ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২০ হাজার ৫৩৬টি আর পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৮২৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৪টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬৭ টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৮২৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ আর মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১৯৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৩ জন আর নারী ৯২ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মোট মারা গেলেন ১৩ হাজার ৭৪ জন আর নারী মারা গেলেন ৫ হাজার ৯৭২ জন। মৃতদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে তিনজন শিশু এবং এক শতবর্ষী বৃদ্ধ রয়েছেন। শিশুদের মধ্যে একজনের বয়স ১০ এর নিচে এবং দুজনের বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। আর শতবর্ষী ওই বৃদ্ধের বয়স ১০০-এর বেশি। এ ছাড়া ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সসীমার মারা গেছেন দুজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩১ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সসীমার ১৬ জন রোগী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা রয়েছেন ৬৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৮ জন, খুলনা বিভাগের ৪১ জন, বরিশাল বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের মারা গেছেন ১০ জন। আর ১৯৫ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩১ জন আর বাড়িতে থেকে মারা গেছেন পাঁচজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।